পুরোদস্তুর যুদ্ধ নয়। জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে নিয়ন্ত্রিত হামলাই চালাবে আমেরিকা। শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকারকে লেখা চিঠিতে এ কথা ফের জানালেন বারাক ওবামা। পাশাপাশি স্পষ্ট করলেন কুর্দিস্তানের রাজধানী আর্বিলে কর্মরত মার্কিন অফিসারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই অবশ্য এ কথাগুলি বলেছিলেন ওবামা। তার পর গত কাল জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে দু’দফায় অভিযান চালিয়েছে আমেরিকা। তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, জুন মাস থেকে চলতে থাকা আইএসআইএস জঙ্গিদের তাণ্ডব রুখতে হঠাৎ এখনই কেন উদ্যোগী হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? কারও কারও মতে, উত্তর ইরাকের ১৭টি শহর দখল করার পরে এখন তেল-সমৃদ্ধ আর্বিলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে জঙ্গিরা। ইরাকের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের দখলও যদি জঙ্গিদের হাতে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে বিশাল সংখ্যক তেলের খনি থেকে তেল-সরবরাহের সুযোগ হারাবে আমেরিকা। তা যাতে না হয়, সে জন্যই সীমিত হামলার পদক্ষেপ। প্রকাশ্যে অবশ্য কর্মী-নিরাপত্তা ও অসহায় ইরাকি বাসিন্দাদের সাহায্যের যুক্তি দিয়েছেন ওবামা। আজ দিল্লিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হাগেলও বলেন, “শুধু সাহায্য করার জন্য যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকই করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি, আইএসআইএস-এর কাজকর্ম গোটা বিশ্বেই প্রভাব ফেলছে। তা রুখতেই আমেরিকা ইরাক সরকারকে সাহায্য করে যাবে।
তবে প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে নিরুত্তাপ ছিলেন ওবামা। পরে বুঝতে পারেন ২০১২-য় বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটে যে হামলা হয়েছিল, সে রকম যদি আর্বিলের কনস্যুলেটেও হয় তা হলে তার ফল মারাত্মক হবে। তা আটকাতেই সীমিত হামলার সিদ্ধান্ত। ওবামা নিজেও গত কাল এক মার্কিন দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, লিবিয়াকে আরও বেশি সাহায্য করা উচিত ছিল আমেরিকার। তা হলে হয়তো গদ্দাফি-পরবর্তী জমানা আরও বেশি শান্তিপূর্ণ হতো। এড়ানো যেত কনস্যুলেট হামলা।