নীরব মোদী।—ফাইল চিত্র।
নির্দিষ্ট খোঁজ মিলেছে। এ বারে নীরব মোদীকে দেশে ফেরানোর জন্য কোমর বেঁধে নামছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদী যে ব্রিটেনে রয়েছেন, সে কথা সিবিআইকে আগেই জানিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। এ বার ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও নয়াদিল্লিকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার পরেই সে দেশের ‘ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ম্যাঞ্চেস্টার’-এর কাছে নীরবকে প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই এবং ইডি।
অভিযোগ, পিএনবি থেকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না করেই বেপাত্তা হয়েছিলেন নীরব। একই মামলায় নীরবের মামা মেহুল চোক্সীও ফেরার। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ বলেছেন, ‘‘ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ম্যাঞ্চেস্টার নীরব মোদীর সন্ধান দিয়েছে সিবিআইকে। ওঁকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।’’ চলতি বছরের অগস্টে ব্রিটেন সরকারের কাছে নীরবের গ্রেফতারির ব্যাপারে দু’বার অনুরোধ করা হয়েছিল। একবার সিবিআইয়ের তরফে, পরের বার ইডি-র তরফে আবেদন করা হয়। ব্রিটেন সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, এই তদন্তে তারা যথাসম্ভব সাহায্য করবে।
জুন মাসে বিদেশ মন্ত্রক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নীরবের গ্রেফতারির ব্যাপারে আবেদন করে। অন্য দিকে নীরবের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির পরে ইন্টারপোল পৃথিবীর ১৯২টি দেশকে তা জানিয়ে দেয়। ওই নোটিসের ভিত্তিতে ওই দেশগুলির সরকার নীরব মোদীকে দেখামাত্র গ্রেফতার করতে পারে। তা ছাড়া নীরবের পাসপোর্ট বাতিল করার পরই তা ইন্টারপোলকে জানিয়ে দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। পিএনবি জালিয়াতি মামলায় নীরব, তাঁর মার্কিন নাগরিক স্ত্রী অ্যামি মোদী, বেলজিয়ামের নাগরিক নীরবের ভাই নিসাল মোদী এবং নীরবের মামা মেহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, নীরব এবং তাঁর মামা মেহুল দু’জনইে দেশে
ফিরে তদন্তের মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy