জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হানা কি যুদ্ধের ইঙ্গিত? — ফাইল ছবি।
আবার কি নতুন যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল? উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা কি যুদ্ধের কারণ হয়ে উঠছে? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ জাপান সরকার বাসিন্দাদের লুকিয়ে পড়ার নির্দেশ জারি করেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও দাবি করেছে, অন্তত দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে পূর্ব জলসীমার ভিতরে। সব মিলিয়ে নতুন করে যুদ্ধের পরিস্থিতি কি ঘনিয়ে উঠেছে, প্রশ্ন ভাসছে হাওয়ায়।
বিগত বেশ কিছু দিন ধরে অস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে কিম জং উনের দেশ। তা করতে গিয়ে অনেক সময়ই অন্য দেশের সীমা অতিক্রম করে ফেলছে ক্ষেপণাস্ত্র। তেমনই ঘটনা ঘটেছে জাপানে। সে দেশের সরকার মিয়াগি, ইয়ামাগাতা এবং নিগাতার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে পড়ার নির্দেশ জারি করেছে। কারণ, উত্তর কোরিয়া থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এসে পড়েছে। যা যে কোনও সময় লোকালয়ে এসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
কিম জং উনের দেশের ধারাবাহিক অস্ত্রপরীক্ষার জেরে ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে। বুধবারই পিয়ংইয়ং ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। তার মধ্যেই একটি গিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে। পাল্টা সোলও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তার জবাব দেয়। এ বার জাপানের লোকালয়ে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার সাতসকালেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা মিয়াগি, ইয়ামাগাতা এবং নীগাতার বাসিন্দাদের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার বা মজবুত অট্টালিকায় লুকিয়ে পড়ার নির্দেশ জারি করেন। কিমের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ওই এলাকায় বুলেট ট্রেন পরিষেবাও অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দিতে হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অবশ্য পরিষেবা চালু হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy