Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

বিবিসির মোদী তথ্যচিত্র নিয়ে নীরবতা ভাঙল আমেরিকা, কী সওয়াল করল বাইডেনের দেশ

বিবিসির তৈরি করা তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ বার এ বিষয়ে মুখ খুলে আমেরিকা জানাল সর্বদাই স্বাধীন এবং মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলে এসেছে তারা। তাই ভারতের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হবে।

জো বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদী।

জো বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫২
Share: Save:

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তৈরি করা তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ বার এ বিষয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। কিছু দিন আগেই তথ্যচিত্রটি ফেসবুক, ইউটিউব-সহ সব ধরনের সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই বিষয়ে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্রকে প্রশ্ন করলে, তিনি জানান, আমেরিকা স্বাধীন এবং মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলে। ভারতের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হবে।

দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে আমেরিকা প্রশাসনের ওই শীর্ষ কর্তা নেদ প্রাইসকে তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সর্বদাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। একই সঙ্গে গুরুত্ব দেব মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সকল ধর্মের সহাবস্থান, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলিকেও।” প্রাইসের এই মন্তব্য বাইডেন প্রশাসনের তরফে ভারতের উদ্দেশে একটি বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।

এর আগে এই বিতর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিল আমেরিকা। অনেকের ধারণা, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। তবে মানবাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়ে ‘লিবার্টি’র দেশ যে ‘স্ট্যাচু’ হয়ে থাকবে না, তা বুঝিয়ে দিল আমেরিকা।

গত রবিবারই কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়।

দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।

যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BBC documentary Narendra Modi US Joe Biden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE