সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে ‘বিদ্ধ’ পাকিস্তান। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের উপর নানা শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। এত দিন পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’-য় রাখা হয়েছিল। অবশেষে সেই ‘ধূসর তালিকা’ থেকে পাকিস্তানকে সরানো হতে পারে, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এফএটিএফ-এর ২০৬ জনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ), রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এগমন্ট গ্রুপ অফ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। ড.মার্কাস প্লেয়ারের নেতৃত্বে আগামী ১৪ থেকে ১৭ জুন পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন বসবে। তিন দিনের বৈঠকে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিত মদত রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়েও পর্যালোচনা করা হবে। জার্মানির ড. মার্কাস প্লেয়ারের জায়গায় আগামী পয়লা জুলাই থেকে এফএটিএফের নয়া প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন সিঙ্গাপুরের টি রাজা কুমার।
আগামী সপ্তাহের শুরুতেই পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে (প্লেনারি) এ ব্যাপারে ঘোষণা করা হতে পারে। এফএটিএফ-এর ওয়েবসাইটেও এ কথা জানানো হবে। আগামী অক্টোবর মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। পাকিস্তান যথাযথ ভাবে শর্ত মেনেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সে দেশে যাবেন এফএটিএফের সদস্যরা।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর! এই অভিযোগে প্রায়শই সোচ্চার হয় ভারত-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার একাংশ। জঙ্গিদের ‘আশ্রয়’ দিচ্ছে ইসলামাবাদ, এই অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলে বার বার করে এসেছে নয়াদিল্লি। যদিও এই অভিযোগ গোড়া থেকেই আমল দেয়নি ইসলামাবাদ। এফএটিএফ কোনও দেশকে ‘কালো তালিকা’য় ঢোকানোর আগে দু’টি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি ‘ধূসর’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দু’টি তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ-এর তরফে সংশ্লিষ্ট দেশকে দু’বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
অতীতে এফএটিএফ-এর পক্ষ থেকে পাক সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত যদি ঠিক মতো পালন করা না হয়, তবে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফএটিএফ-এর ‘ধূসর তালিকা’-য় রয়েছে পাকিস্তান।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।