সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ওই বিমানচালকের ছবি।
মাটি থেকে কয়েক হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বিমান। বিমানে রয়েছেন ৩০৫ জন যাত্রী। যাঁদের জীবনরক্ষার দায়িত্ব বিমানে প্রধান বিমানচালকের হাতে। কিন্তু যাত্রীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিব্যি ককপিট ছেড়ে বিজনেস ক্লাসের একটি আসনে শুয়ে, নাক ডেকে পাক্কা ২ ঘণ্টা ঘুমোলেন বিমানচালক। গত ২৬ এপ্রিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-এ এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। লন্ডনগামী পিআইএ বিমানের এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, আমির আখতার হাশমি নামে ওই পাকিস্তানি বিমানচালককে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে পিআইএ কর্তৃপক্ষ। ওই বিমানে থাকা এক যাত্রী বিমানচালকের ঘুমিয়ে পড়ার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। প্রথমে আমির আখতার হাশমি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কোনওরকম ব্যবস্থাই নেয়নি পিআইএ কর্তৃপক্ষ। এক পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এক পিআইএ অফিসারের দাবি, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স(পিআইএ)-এর সভাপতি ছিলেন আমির।
আরও পড়ুন: ফটোশুট করতে গিয়ে হাঙরের কামড় খেলেন মডেল!
সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা করা হচ্ছিল। যদিও পরবর্তী কালে উচ্চপর্যায়ের চাপে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় পিআইএ। ওই বিমান সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘এই নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিমানচালককে বিমান চালানোয় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।’’
বিমান সংস্থাটির এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই বিমানের সহ বিমানচালক ছিলেন আলি হাসান ইয়াজদাহি। বিমানচালক হিসেবে ইয়াজদাহির প্রশিক্ষণ চলছিল। বিমানচালকের পাশাপাশি হাশমি একজন প্রশিক্ষকও। শিক্ষাণবীশ বিমানচালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে বেতন পেতেন পেতেন তিনি। লন্ডনগামী ওই ফ্লাইটেও ইয়াজদাহিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy