Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Intenational News

‘আমি লস্করের সমর্থক, হাফিজ আমার বন্ধু’

মুম্বই হামলার মূল চক্রী জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদের ভূয়সী প্রশংসা করে মুশারফ বলেছেন, ‘‘কাশ্মীর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সইদ। এই আন্দোলনকে আমিও সমর্থন করি।’’

লস্করকে দেশপ্রেমী বলে মনে করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। ছবি: সংগৃহীত।

লস্করকে দেশপ্রেমী বলে মনে করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২১:১১
Share: Save:

সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার তিনি খুব বড় সমর্থক। পছন্দ করেন হাফিজ সইদকেও। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবিই করলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ

মুম্বই হামলার মূল চক্রী জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদের ভূয়সী প্রশংসা করে মুশারফ বলেছেন, ‘‘কাশ্মীর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সইদ। এই আন্দোলনকে আমিও সমর্থন করি।’’ পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার মুশারফ জানান, লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়াকে তিনি সমর্থন করেন। এমনকী, লস্করও তাঁকে পছন্দ করে বলে দাবি করেন মুশারফ।

আরও পড়ুন:

হাফিজের ‘জঙ্গি’ তকমা মোছার চেষ্টা, পাকিস্তান থেকে আবেদন রাষ্ট্রপুঞ্জে

হাফিজের ‘জঙ্গি’ তকমা মোছার চেষ্টা, পাকিস্তান থেকে আবেদন রাষ্ট্রপুঞ্জে

রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদী তালিকায় রয়েছে হাফিজ সইদের নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সইদের মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু মুশারফের দাবি, মুম্বই হামলায় কোনও ভাবেই জড়িত ছিলেন না সইদ। কারণ? মুশারফের দাবি, বিষয়টি সইদ নিজে অস্বীকার করেছেন। মুশারফের কথায়, ‘‘আমি খোলামেলা এবং মধ্যপন্থী। তার মানে এই নয়, আমি সমস্ত ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।’’

প্রাক্তন পাক জেনারেলের দাবি, লস্করকে তিনি সমর্থন করেন। অথচ ২০০২ সালে সেই লস্করকেই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মুশারফ প্রশাসন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুশারফ জানান, ‘‘সে সময় পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছিলাম। সইদের বিষয়ে তখন আমি বিশেষ কিছুই জানতাম না। জানলে, এমনটা হত না।’’ তাঁর দাবি, লস্করকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণার পিছনে রয়েছে ভারত এবং আমেরিকা।

কিছু দিন আগেই হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে লাহৌর হাইকোর্ট। হাফিজের মুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দিল্লিও। এমন পরিস্থিতিতে খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন প্রাক্তন পাক জেনারেল। এই ঘটনা, নতুন করে বিতর্ক উসকে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE