Advertisement
০২ মে ২০২৪
Turkey Earthquake

প্রাণের সাড়া নেই, নতুন করে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ছে না উদ্ধারকারী দল, দুঃখ ভুলতে চায় তুরস্ক

৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প হওয়ার প্রায় ২০০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের তলায় আর প্রাণের আশা দেখছে না তুরস্ক প্রশাসন। এখন গৃহহীনদের আস্তানা তৈরির দিকেই মনোনিবেশ করতে চাইছে তারা।

Rescuers have left but people of Turkey wanted more rescue operation until more dead body will found

ণের সাড়া নেই, তুরস্কে নতুন করে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ছে না উদ্ধারকারী দল।

সংবাদ সংস্থা
আঙ্কারা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৬
Share: Save:

ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে তুরস্কের একটা বড় অংশ। ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রাণের সাড়া পেলে তবেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রায় দশ দিন কেটে যাওয়ার পর আটকে পড়া আর কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখছে না তারা। তবে স্বজনহারানো পরিবারগুলির অভিযোগ, তাঁরা বুঝতে পারছেন কোথায় তাঁদের আত্মীয়রা আটকে রয়েছেন। কিন্তু উদ্ধারকারী দল সে অঞ্চল খনন করে তাদের উদ্ধার করে আনছে না। কারণ তাদের কেউই আর বেঁচে নেই।

গত মঙ্গলবারও অবশ্য সকলকে খানিক অবাক করে দিয়েই তুরস্কে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বেশ কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভূমিকম্প হওয়ার প্রায় ২০০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর নতুন করে ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রাণের আশা দেখছে না তুরস্ক প্রশাসন। তারা এখন গৃহহীনদের অস্থায়ী আস্তান তৈরির দিকেই বেশি মনোনিবেশ করতে চাইছে। ৪৮ বছরের এক তুর্কি মহিলা ভাঙা বাড়ির দিকে নির্দেশ করে আপন মনেই বিলাপ করে চলেন, “ওখানেই ঘুমিয়ে আছে আমার স্বামী, আমার ছেলে।” কিন্তু উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, কম্পনে বিপর্যস্ত শহরগুলোর এমন কিছু জায়গায় ধ্বংসস্তূপের নীচে দেহ আটকে রয়েছে যে, সেখান থেকে তাঁদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা আর সম্ভব নয়। তাদের আরও দাবি, জীবিতদের উদ্ধার করাই বাহিনীর অগ্রাধিকারের মধ্যে ছিল।

পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেও স্থানীয়দের একাংশের উদ্ধারকাজ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের অনেকের মতে, প্রাণের স্পন্দন না থাকলেও পরিবারের মৃত সদস্যদের শেষ বারের মতো দেখা অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই ক্ষোভের কথা অজানা নয় দেশের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানেরও। জনগণের ক্ষোভ প্রশমনে তিনি বার বার বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ঘন ঘন টিভি চ্যানেলে এসে বিবৃতি দিচ্ছেন। ২০১৮ সালে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন এর্ডোয়ান। আগামী মে মাসে আবার সে দেশে সাধারণ নির্বাচন। তবে ক্ষোভ থাকলেও এর্ডোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নারাজ সে দেশের একটি বড় অংশ। এমনকী স্বজনহারানো এক মহিলাও সংবাদমাধ্যকে এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “জানি সব কিছু শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সরকার কী আর করবে? মৃতদের উদ্ধার করা গেলে আর একটু শান্তি পেতাম।” তুরস্ক এবং সংলগ্ন সিরিয়া মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE