বিংশ শতকের মাঝামাঝি। ব্রিটেনের অধিকাংশ বড় সংবাদপত্র তখন ছেপে বেরোত লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রিট থেকে। ছাপা ও প্রকাশনার সঙ্গে সেই ফ্লিট স্ট্রিটের দীর্ঘ সম্পর্ক এক প্রকার শেষ হয়ে যায় তাঁর জন্যই। ৩০ বছর বাদে ফের তাঁর সেই চেনা রাস্তায় ফিরছেন মিডিয়া ব্যারন রুপার্ট মার্ডক। অভিনেত্রী জেরি হলের সঙ্গে চতুর্থ বিয়েটি সারার জন্য এ বার ফ্লিট স্ট্রিটের সেন্ট ব্রাইড’স চার্চই বেছেছেন তিনি।
ষোড়শ শতকের গোড়া থেকেই খবরের কাগজ ছাপা ও প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যায় ফ্লিট স্ট্রিটের নাম। লন্ডনের এই এলাকা থেকেই তখন ছাপা হতো প্রায় সব কাগজ। কিন্তু ৩০ বছর আগে মার্ডক নিজের প্রকাশনা সংস্থার অফিস ফ্লিট স্ট্রিট থেকে সরিয়ে ওপিং স্ট্রিটে নিয়ে যাওয়ার পরেই বদলাতে থাকে ছবিটা। সেখানে আরও সস্তায় কাগজ ছাপানো শুরু করে মার্ডকের প্রকাশনা সংস্থা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। দ্য টাইমস-এর মালিকের পথে হেঁটেই দ্য ডেলি টেলিগ্রাফ, দ্য ডেলি মেল-এর মতো কাগজ একে একে পাততাড়ি গোটাতে শুরু করে এই এলাকা থেকে। সেই তালিকায় রয়েছে রয়টার্সও। এক সময় আনন্দবাজার পত্রিকার অফিসও ছিল সেখানে। ১৯৯৮ সালে তালা পড়ে সেখানেও। যদিও সেই ফ্লিট স্ট্রিট এখন চরিত্র বদলেছে। কাগজের অফিসের বদলে সেখানে মাথা তুলেছে একাধিক লিগাল ফার্ম।
সেই ফ্লিট স্ট্রিটেই সেন্ট ব্রাইড’স চার্চ। এক সময় সাংবাদিকদের তীর্থক্ষেত্র বলা হত এটিকে। মার্ডক একা নন, লন্ডনের বহু সাংবাদিকই বিয়ে সারেন এখানে। মৃত্যুর পরে শেষকৃত্যও হয় সেখানে। এক কথায় ‘সংবাদমাধ্যমের আধ্যাত্মিক পীঠস্থান’ বলা যেতে পারে এই চার্চটিকে। এই চার্চেই চতুর্থ বিয়েটি সারছেন মার্ডক।