বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে গ্রিসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ২৫ বছরের জর্জিয়া ব্রাডলি। ক্রেটে ঘোরার সময় হঠাত্ই তাঁর ইচ্ছে হয়, একা একা বিচে ঘুরে বেড়াবেন।
কিন্তু বিচে যাওয়ার রাস্তাতেই নেমে এসেছিল বিপদ। কোথা থেকে দু’জন উটকো লোক এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ভুগছিলেন লন্ডনের প্লিমাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ব্র্যাডলি। অস্বস্তি চরমে পৌঁছয় যখন তারা ব্র্যাডলিকে তাদের সঙ্গে মদ্যপান করার আহ্বান জানায়। ব্র্যাডলি না বলার পরই হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে দুই আততায়ী।
সেই সময়ই ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় সেই পরম বন্ধু। লোক দুটোর রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে ব্র্যা়ডলির হাত চাটতে থাকে। সঙ্গে চলতে থাকে অনর্গল ঘেউ ঘেউ। যত ক্ষণ না বিপন্মুক্ত হয়েছেন ব্র্যাডলি, সে ডেকেই গিয়েছে। ব্রাডলির কথায়, ‘‘ও আমাকে বাঁচিয়েছে। ও বুঝতে পেরেছিল কিছু একটা ঘটছে। অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছনো পর্যন্ত ও আমার পিছন পিছন এসেছিল। কেমন যেন আত্মীক যোগ তৈরি হয়ে যায় ওর সঙ্গে।’’ আদর করে তার নাম রাখেন পেপার।
এর পরে সময় মতো লন্ডন ফিরে গিয়েছিলেন ব্র্যাডলি। কিন্তু ভুলতে পারছিলেন না পেপারকে। ঠিক করে ফেলেন ফিরে যাবেন। দত্তক নেবেন পেপারকে। অত বড় শহরে ছোট্ট পেপারকে খুঁজে পাওয়া কি সহজ? কিন্তু ব্র্যাডলি ভাগ্যের উপর ভরসা করেছিলেন। আর তাই পেপারকে পেয়েও যান বিচে। দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া একটু জটিল হয়েছিল। কিন্তু টানা ৫ সপ্তাহের চেষ্টা, তিন বার গ্রিস যাওয়া আসা এবং ৬ হাজার মাইলের বাধা পেরিয়ে পেপার এখন ব্র্যাডলির।
আরও পড়ুন: পরনে লেগিংস, বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হল দুই তরুণীকে
তবে দত্তক নেওয়ার আগে ব্র্যাডলি জানতেন না পেপার মা হতে চলেছে। লন্ডনে আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই ৬ সন্তানের জন্ম দেয় পেপার। এক বন্ধুর বদলে এখন সাত বন্ধুকে নিয়ে দারুণ কাটছে ব্র্যাডলির দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy