ছবি সৌজন্য টুইটার।
(প্রথমে স্থানীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, তালিবান এক ব্যক্তিকে খুন করে ঝুলিয়ে শাস্তি দিয়েছে। খবটি নিয়ে যখন হইচই শুরু হয়, সেই ঘটনার দু’দিন পরই জানা যায়, বিষয়টি সত্য নয়। বিভিন্ন সূত্র খতিয়ে দেখার পর বুম লাইভ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি আসলে এক জন তালিব যোদ্ধা। কন্দহরের গভর্নরের অফিসে তালিবানের পতাকা লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পারেননি।)
কন্দহরের আকাশে হেলিকপ্টার থেকে মানুষ ঝোলার রহস্য অবশেষে কাটল
আমেরিকার তৈরি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলছেন এক ব্যক্তি। আমেরিকা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার দিনেই কন্দহরের আকাশে এ রকমই একটি দৃশ্য দেখা গেল মঙ্গলবার। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শাস্তি দিতে এবং শাস্তির নমুনা দেখাতেই এমনটা করেছে তালিবান। তবে ওই ব্যক্তি মৃত না জীবিত ভিডিয়োয় স্পষ্ট করে কিছু বোঝার উপায় নেই। স্থানীয় সূত্রের দাবি, তালিব জঙ্গিরা ওই ব্যক্তিকে খুন করার পর এ ভাবে হেলিকপ্টারে বেঁধে ঝুলিয়ে কন্দহর টহল দিতে বেরিয়েছিল।
ওই সূত্র আরও দাবি করেছে, আফগান সেনা এবং আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতেন এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বার করে তাঁদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান। না হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কী ধরনের শাস্তি হতে পারে তা হাতেকলমে দেখাতেই নাকি মঙ্গলবার কন্দহরের আকাশে হেলিকপ্টারে বাঁধা মানুষকে ঝুলিয়ে দেখানো হয়েছে বলে দাবি ওই সূত্রের।
If this is what it looks like… the Taliban hanging somebody from an American Blackhawk… I could vomit. Joe Biden is responsible.
— Liz Wheeler (@Liz_Wheeler) August 30, 2021
pic.twitter.com/muHLEi3UvK
মঙ্গলবার ভোররাতে আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকার শেষ সেনা। কাবুল বিমানবন্দর থেকে শেষ বিমান ছাড়তেই সেখানে তল্লাশি অভিযানে পৌঁছে যায় তালিবানের বিশেষ প্রশিক্ষিত ‘বদরি ৩১৩’ বাহিনী। আমেরিকার ছেড়ে যাওয়া হেলিকপ্টার, বিমান, সাঁজোয়া গাড়ি এবং রকেট হামলা প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে তারা। সেই ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। আমেরিকা দাবি করেছে, কাবুল বিমানবন্দরে থাকা তাদের সব সামরিক সরঞ্জাম অকেজো করে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তালিবান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy