Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

কাবুলে ফের জঙ্গি হানা, হত ৪

ফের জঙ্গি নিশানায় কাবুল। আজ বিকেলে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আইন মন্ত্রকের পার্কিং এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি এনে ওই হামলা চালিয়েছে কোনও আত্মঘাতী জঙ্গি। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। দু’সপ্তাহের মধ্যে কাবুলে পাঁচ বার জঙ্গি হানায় উদ্বিগ্ন দিল্লিও। কাবুলের অভিজাত এলাকায় আফগান আইন মন্ত্রকের অফিস। তার পাশে কিছু দফতরে কাজ করেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরাও। আজ সেখানে বিস্ফোরণে কিছুটা দূরের অফিসের কাচও ভেঙে গিয়েছে।

বিস্ফোরনের পর। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে আফগান সেনা। ছবি: রয়টার্স।

বিস্ফোরনের পর। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে আফগান সেনা। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৫ ০৩:২৭
Share: Save:

ফের জঙ্গি নিশানায় কাবুল। আজ বিকেলে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আইন মন্ত্রকের পার্কিং এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি এনে ওই হামলা চালিয়েছে কোনও আত্মঘাতী জঙ্গি। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। দু’সপ্তাহের মধ্যে কাবুলে পাঁচ বার জঙ্গি হানায় উদ্বিগ্ন দিল্লিও।

কাবুলের অভিজাত এলাকায় আফগান আইন মন্ত্রকের অফিস। তার পাশে কিছু দফতরে কাজ করেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরাও। আজ সেখানে বিস্ফোরণে কিছুটা দূরের অফিসের কাচও ভেঙে গিয়েছে। আফগান সরকার জানিয়েছে, অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত ২৪। ভারতীয়েরা সকলে নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি কাবুলের কোলালা পশতু এলাকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে চার ভারতীয়-সহ ১৪ জন নিহত হন। আমন্ত্রিত হলেও অনুষ্ঠানে যাননি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অমর সিন্হা। তিনিই জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিলেন বলে নিশ্চিত ভারতীয় গোয়েন্দারা। তার পরেও বেশ কয়েক বার কাবুলে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।

নয়া আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির নীতির ফলেই আফগানিস্তানের বিপদ বাড়ছে বলে ধারণা দিল্লির। স্পষ্টতই পাকিস্তানপন্থী ঘানি কাবুলের তখতে বসার পরেই ইসলামাবাদে যান। কিন্তু দিল্লিতে আসতে তাঁর সময় লেগেছে ছ’মাস। দিল্লির সঙ্গে ঘানির দূরত্ব এতই বেড়ে গিয়েছিল যে আগে স্ত্রীকে পাঠিয়ে তিক্ততা কিছুটা দূর করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সাউথ ব্লকের মতে, ঘানির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হওয়া ভাল চোখে দেখেনি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও পাকপন্থী জঙ্গিরা। তাই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ঘানি ফের বড় জুয়া খেলতে নেমেছেন বলে মনে করছে দিল্লি। কারণ, আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করতে আফগান গুপ্তচর সংস্থা রিয়াসত আমনিয়াত-ই মিল্লিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী কয়েক মাসে তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে চান ঘানি। আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করলে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ইসলামাবাদের মদত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ঘানি সরকার।

আফগান সরকার সূত্রে খবর, তালিবান-হক্কানি গোষ্ঠীকে পাক মদতের বদলা হিসেবে পাক-বিরোধী জঙ্গিদের মদত দেয় আফগান গুপ্তচর সংস্থা। ইসলামাবাদে নিজের বাড়িতে খুন হয় জঙ্গি নেতা নাসিরুদ্দিন হক্কানি। তার পিছনে আফগান গুপ্তচররাই ছিল বলে মনে করেন অনেকে।

আইএসআইয়ের সঙ্গে লড়াই থামানোর চুক্তির কথা প্রকাশ্যে মেনেও নিয়েছে ঘানি সরকার। দিল্লির ধারণা, পাক মদত নিয়ে তালিবানের সঙ্গে কথা বললে বিপাকে পড়বে কাবুল। এক ভারতীয় কূটনীতিকের কথায়, ‘‘সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ও পাক-বিরোধী পাখতুনরা কাবুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে। গৃহযুদ্ধ হতে পারে আফগানিস্তানে।’’

ঘানির জুয়া সামলাতে দিল্লি কোনও পদক্ষেপ করতে পারে কিনা তাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE