দাদাকে দেখেই শখ জাগল কিনা কে জানে। নইলে পার্টি প্রিন্সের মুখে এমন কথা! শুনেই চমকে যাচ্ছেন সবাই। কিন্তু ব্রিটেনের সিংহাসনের পঞ্চম দাবিদার রাজকুমার হ্যারি সোমবার বলেছেন, তিনিও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসারে মন দিতে চান।
রাজ পরিবারের বিশাল দায়িত্ব সামলাতে এখন নাকি মন পরিবর্তন হয়েছে তাঁর। তিনি বলেছেন, কাউকে এ বার জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাশে চান। তবে ঠিক সঙ্গিনীর খোঁজ এখনও পাননি। তাই অপেক্ষায় রয়েছেন। এক দশক সেনাবাহিনীতে থাকার পরে এ বার নিউজিল্যান্ডে অবসর কাটাচ্ছেন হ্যারি। আগামী মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনী থেকে সরে যাবেন। তার আগে ছুটি কাটাতে গিয়ে হ্যারির এই উপলব্ধি।
দাদা উইলিয়ামের কন্যা শার্লটের জন্মের পরে এই ইচ্ছেটা আরও বেশি করে চাড়া দিয়েছে বলে দাবি হ্যারির। ব্রিটেনের একটি সংবাদ চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘‘এখন ছেলেমেয়ে হলে ভালই লাগবে। তবে সব কিছুরই তো একটা পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে প্রত্যেককেই।’’ নিউজিল্যান্ড সফরে তিনি একা এসে উপভোগ করছেন ঠিকই কিন্তু এখন তাঁর এটাও মনে হচ্ছে, ‘‘পাশে কেউ থাকলে ভালই হয়। সময় আসুক, যা হওয়ার হবে।’’
গত বছরই ৩০ বছরের রাজপুত্তুরের সঙ্গে প্রেমিকা ক্রেসিডা বোনাসের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁকে যে ভাবে সবাই ‘পার্টি প্রিন্স’ বলতেই অভ্যস্ত তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে হ্যারির। তিনি চাননি কোনও দিন কেউ তাঁকে এই পরিচয়ে চিনুক। বরং সমাজকে কিছু দেওয়ার মতো কাজই তিনি করতে চান। মাটির কাছাকাছি এই হ্যারিকে দেখে মুগ্ধ নিউজিল্যান্ডও। রাজপুত্রের বক্তব্য, তিনি বা তাঁর দাদা, দু’জনেই চান সাধারণ মানুষের মতো কাজ করে উপার্জন করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy