ইসলামাবাদের চোখে তিনি ‘নিরপরাধ’। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানে কোনও মামলা নেই, তাই ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
মুম্বই হামলার মুল চক্রী তথা লস্কর নেতা হাফিজ সইদকে ‘সাহেব’ সম্বোধন করে দিন দু’য়েক আগে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন পাক প্রধানমনন্ত্রী শাহিদ খকন আব্বাসি। কাল এই প্রেক্ষিতেই ফের সুর চড়াল আমেরিকা। স্পষ্ট বার্তা গেল ইসলামাবাদের কাছে— জঙ্গি হাফিজের বিরুদ্ধে এ বার ব্যবস্থা নিতেই হবে। আইন মেনে তা যতখানি কড়া হওয়া সম্ভব!
হাফিজকে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারতও।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ভূমিকায় যে তারা খুশি নয়, হালে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তানকে ‘প্রতারক’ তকমা দিয়ে ইতিমধ্যে তাদের সামরিক খাতে বরাদ্দের একটা বড় অংশ ছেঁটেও ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসলামাবাদ যদিও গোড়া থেকেই উল্টো সুরে গাইছে। তাদের দাবি, পাকিস্তান কোনও ভাবেই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য নয়। বরং জঙ্গি-দমনেই তারা বদ্ধপরিকর। এমনকী প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নামতে চাওয়া হাফিজের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখিয়েছে তারা। যেমন, সইদের তিনটি সংগঠনকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার উপর সম্প্রতিই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসলামাবাদ।
তবু চিঁড়ে ভিজছে কই!
পাক প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে বিঁধতে গিয়েই মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নেউয়ার্ট বলেন, ‘‘আমরা কী চাইছি, তা এর আগেও পাকিস্তানকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আবারও বলছি, হাফিজ সইদকে আমরা জঙ্গি হিসেবেই দেখি। ২০০৮-এ মুম্বই হামলার মুল চক্রীর বিরুদ্ধে এ বার ওদের যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতেই হবে।’’ হাফিজকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তার পরেও পাকিস্তান তাঁকে নানা
ভাবে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy