রেস্তরাঁর কর্মীরা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন সারাকে। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করেন, শুধুমাত্র এই কারণেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা সন্ডার্সকে একটি রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হল। শুক্রবার সারা ভার্জিনিয়ার একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন। সেখানেই রেস্তরাঁর মালিক তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। কোনও রকম বচসায় না গিয়ে ভদ্রভাবেই রেস্তরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে যান সারা।
জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁয় বেশ কয়েক জন রপান্তরকামী ও সমকামী কর্মী ছিলেন। মূলত তাঁদের আপত্তির কারণেই সারাকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। টুইট করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন সারা। জানিয়েছেনন, লেক্সিংটনের রেড হেন রেস্তরাঁয় ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার মূল অবশ্য অনেকটাই গভীরে। গত বছর জুলাই মাসে একটি টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীতে আর রূপান্তরকামীদের কোনও প্রয়োজন নেই। রূপান্তরকামীদের সেনাবাহিনীতে রাখলে তাঁদের জন্য চিকিৎসা বাবদ যে বিপুল খরচ হয়, তা অর্থহীন। তাই সেনাবাহিনীর কোনও দফতর বা কোনও স্তরেই আর রূপান্তরকামীদের রাখা হবে না। সেই ট্রাম্প প্রশাসনেরই অংশ সারা। তাই রেস্তরাঁর কর্মীরা সারার উপস্থিতি পছন্দ করেননি।
Last night I was told by the owner of Red Hen in Lexington, VA to leave because I work for @POTUS and I politely left. Her actions say far more about her than about me. I always do my best to treat people, including those I disagree with, respectfully and will continue to do so
— Kayleigh McEnany (@PressSec) June 23, 2018
সারা টুইটে বলেন, তাঁর সঙ্গে বিরোধিতা রয়েছে এমন তো অনেকেই রয়েছেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি তাঁদের অশ্রদ্ধা করবেন। সারার এই টুইটবার্তার পর এক ঘণ্টার মধ্যে ২২ হাজার ‘রিপ্লাই’ পান তিনি।
আরও পড়ুন: সীমান্ত-শিবিরে হঠাৎ হাজির মেলানিয়া ট্রাম্প
‘ভণ্ড’ প্রতিষ্ঠানে নেই আমেরিকা
রেস্তরাঁর মালিক স্টিফানি উইলকিনসন বলেন, সারাকে রেস্তরাঁয় প্রবেশ করতে দেখে কর্মীদের অনেকেই আপত্তি জানানোয় তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সারাকে অনুরোধ করেন রেস্তরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সারা স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy