দেশকে অস্থিরতার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কট্টরপন্থীরা। এ ভাবেই ইয়েমেনের মসজিদ-হামলার সমালোচনা করলেন দেশের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদি। শুক্রবার রাজধানী সানার দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪২ জনকে হত্যা করে আত্মঘাতী জঙ্গিরা। হামলার দায় স্বীকার করে এই প্রথম ইয়েমেনে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে আইএস।
সূত্রের খবর, সানার এই মসজিদ দুটিতে প্রার্থনার জন্য যান মূলত শিয়া হুথি গোষ্ঠীর মুসলমানরা। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই সানা হুথিদের দখলে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল সালের সমর্থকদের সাহায্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে তারা। রয়েছে ইরানের সমর্থনও। কিন্তু দেশের দক্ষিণে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে গিয়ে আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত সুন্নি গোষ্ঠীগুলির প্রতিরোধের মুখে পড়েছে হুথিরা। প্রেসিডেন্ট হাদির মতে, “শিয়া কট্টরপন্থীদের প্রতিনিধি হুথি এবং সুন্নি কট্টরপন্থীদের প্রতিনিধি আল কায়েদা। এরা একই মুদ্রার দুই পিঠ।” তবে ইয়েমেন আল কায়দার শক্ত ঘাঁটি হলেও প্রথম থেকেই এই আত্মঘাতী হামলা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি। আল কায়দা জানিয়েছে, মসজিদে হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করার বিরোধী তারা। শুক্রবার দুপুরে ইয়েমেনের রাজধানী সানার দুটি মসজিদে ঢুকে পড়ে জনা তিনেক আত্মঘাতী জঙ্গি। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটায় একজন। প্রাণের ভয়ে বাইরে পালানোর জন্য মসজিদের মূল ফটকের দিকে ছুটে যায় অনেকে। সেখানেই দাঁড়িয়েছিল দ্বিতীয় জঙ্গি। সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে উড়িয়ে দেয় সেও। দুপুরের প্রার্থনার জন্য মসজিদ দু’টিতে জমা হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মসজিদের বাইরে রক্তস্রোতের মধ্যে পড়ে রয়েছে মৃতদেহগুলি। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার দায় স্বীকার করে আই এস জঙ্গিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy