অবশেষে চাপের সামনে নতি স্বীকার করল পাক প্রশাসন। পিএটি (পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক)-এর নেতা মৌলবী তাহির-উল-কাদরির দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত খুনের মামলা করা হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই তথা পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে।
গত ৭ জুন লাহৌরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৪ জন পিএটি সদস্যের মৃত্যু হয়। কর্মী-সমর্থকদের মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করে তাঁর ইস্তফা দাবি করেন কাদরি। তাঁর দাবি, নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করতে হবে। প্রশাসন আজ সেই দাবি মেনে নিলেও পাকিস্তানের যুক্তরাষ্ট্রীয় মন্ত্রী সাদ রফিক জানান, দোষী প্রমাণিত হলে তবেই ইস্তফা দেবেন শরিফ। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ মুখপাত্র জানিয়েছেন, লাহৌর হাইকোর্টের নির্দেশে শরিফ এবং তাঁর ভাই-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তার পরই আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে পিএটি।
বুধবারই নওয়াজ শরিফ জানান, পদত্যাগের কথা ভাবছেন না তিনি। তবে সরকারি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন নওয়াজ। সেখানে দীর্ঘ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, নওয়াজ বা শাহবাজ কেউই ইস্তফা দেবেন না। তবে মেনে নেওয়া হবে কাদরির
মূল দাবি।
গত দু’সপ্তাহ ধরে কাদরির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খান। তিনি অবশ্য নওয়াজের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। এই যৌথ আন্দোলন কোন পথে যাবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও আগাম জানিয়েছেন ইমরান ও কাদরি। আর সে দিনই আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল পিএটি। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের সঙ্গী হারিয়ে একা হয়ে গেলেন ইমরান খান। যদিও তিনি এখনও নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতে অনড়। তিনি এ দিন বলেন, “আমি এখান থেকে যাব না। প্রকৃত গণতন্ত্রের দাবিতে একাই আন্দোলন চালাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy