Advertisement
E-Paper

ফের সেলফি বিতর্কে জড়ালেন ওবামা

সেলফি, বিতর্ক এবং বারাক ওবামা। জোহানেসবার্গে মাস তিনেক আগে নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্যে তোলা বারাক ওবামার একটি সেলফি নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। ফের সেলফি বিতর্কে নাম জড়াল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সে বার ওবামার সঙ্গে ছিলেন ডেনর্মাকের প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং স্মিট। এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু এক বেসবল খেলোয়াড়। নাম ডেভিড অরটিজ। তবে বেসবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সেলফি তোলা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। আসলে এ বার মোবাইল ফোন সংস্থা স্যামসাঙের নাম জড়ানোয় পুরো বিষয়টি এক অন্য মাত্রা নিয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা বিষয়টি আইনি লড়াইয়ের দিকেই এগোচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১৭
এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক। ফাইল চিত্র।

এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক। ফাইল চিত্র।

সেলফি, বিতর্ক এবং বারাক ওবামা।

জোহানেসবার্গে মাস তিনেক আগে নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্যে তোলা বারাক ওবামার একটি সেলফি নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। ফের সেলফি বিতর্কে নাম জড়াল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সে বার ওবামার সঙ্গে ছিলেন ডেনর্মাকের প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং স্মিট। এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু এক বেসবল খেলোয়াড়। নাম ডেভিড অরটিজ। তবে বেসবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সেলফি তোলা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। আসলে এ বার মোবাইল ফোন সংস্থা স্যামসাঙের নাম জড়ানোয় পুরো বিষয়টি এক অন্য মাত্রা নিয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা বিষয়টি আইনি লড়াইয়ের দিকেই এগোচ্ছে।

গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল বেসবল দল ‘বস্টন রেড সক্স’-এর সদস্যরা। ২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড সিরিজ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল ‘রেড সক্স’। তারই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের একটি ছবি তোলেন অরটিজ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওবামার পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে নিজেদের ছবি তুলছেন অরটিজ। প্রেসিডেন্টের হাতে তাঁর দলের একটি জার্সি। ছবিটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্টও করেছিলেন তিনি। অরটিজ ছবিটি তুলেছিলেন স্যামসাঙের একটি মোবাইল থেকে। এই পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাকই ছিল।

কিন্তু গোলমাল বাধল অন্যত্র। অরটিজের তোলা সেই সেলফিটি স্যামসাং নিজেদের টুইটার অ্যাকউন্টে রিপোস্ট করে দেয়। টুইটারে প্রায় ৫২ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে সংস্থাটির। ব্যস। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। দু’দিন পরে নড়েচড়ে বসে হোয়াইট হাউস। গত কাল তারা তীব্র নিন্দা করেছে স্যামসাঙের। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জে কার্নে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। কার্নের কথায়, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কোনও মোবাইল সংস্থার প্রচারক নন। নিজেদের টুইটারে প্রেসিডেন্টের ছবি ছেপে অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছে স্যামসাং। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। আর বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলছি।”

স্যামসাং এ বিষয়ে কী বলছে? তাদের তরফে অবশ্য এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। তবে হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা, নিজেদের সংস্থার প্রচারের জন্যই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিটি রিটুইট করেছে স্যামসাং। যাতে কেউ সেই ছবি দেখলেই ভাবেন যে বারাক ওবামাও এই সংস্থার হয়ে প্রচার করছেন। কেউ কেউ তো আবার এ-ও বলছেন যে, অরটিজ স্যামসাঙের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাম্বাসাডর। তাই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা সেই ছবির জন্য তাঁকে ভাল অর্থও দিয়েছে ওই মোবাইল সংস্থা।

অরটিজ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি স্যামসাঙের ফোনে ছবিটি তুলেছিলেন ঠিকই। কিন্তু সংস্থার তরফে কোনও অর্থ তাঁকে দেওয়া হয়নি। অরটিজের কথায়, “ছবি তোলার জন্য অনেক চিত্রগ্রাহক সেখানে ছিলেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, হাতে যখন একটা মোবাইল ক্যামেরা আছে, তখন আমি নিজেই একটা ছবি তুলি। আসলে প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ তো আর রোজ রোজ আসে না।”

selfie obama controversy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy