‘দাবাড়ু’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যবিত্ত বাড়ি থেকে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার গল্প বাংলা ছবিতে। নেপথ্যে ‘উইন্ডোজ় প্রোডাকশন’। এর মধ্যেই রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহে সাড়া ফেলে দিয়েছে ‘দাবাড়ু’। এ বার সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় স্পেশাল স্ক্রিনিং। চলতি মাসের ২৬ তারিখে ওয়েথারিল পার্কের হয়েটসে ছবির প্রদর্শন হবে।
‘দাবাড়ু’র মতো একটা ছবি প্রযোজনা করতে পেরে গর্বিত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “সারা পৃথিবীর মানুষ, বিশেষত বাঙালিরা ছবিটা দেখবেন, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। বাঙালি হিসাবে আমরা গর্বিত। ‘দাবাড়ু’র সাফল্য আগামী দিনে এই ধরনের ছবি করতে আরও সাহস জোগাবে।”
তবে দাবাড়ু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা খানিক আলাদা। তাঁর জীবননির্ভর ছবি বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বলে আপ্লুত নন তিনি, বরং তাঁর পরিবারের লড়াইয়ের কথা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে আনন্দ প্রকাশ করলেন তিনি। বললেন, “পরিবারের অবদান অধিকাংশ সময়ে নীরবে থেকে যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ছবি স্ক্রিনিং-এর হাত ধরে আমার জীবনে মা, দাদু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের যে অবদান, তার আরও বিস্তার ঘটল।”
ছবির ঝলক প্রকাশের সময় থেকেই প্রবাসী বাঙালিরা ছবি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানালেন পথিকৃৎ বসু। “‘দাবাড়ু’ যে ভাবে আমাদের রাজ্যের দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে, আমি নিশ্চিত, প্রবাসী বাঙালিদের মনেও জায়গা করে নেবে,” আত্মবিশ্বাসের সুর পরিচালকের কণ্ঠে।
ভারতে এক অর্থে ‘প্রথম’ হয়ে থাকল ‘দাবাড়ু’, মত প্রযোজকের। গ্র্যান্ডমাস্টারের জীবননির্ভর ছবি যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম হল! যে রাজ্যে ১৩ জন গ্র্যান্ডমাস্টার আছেন, সেই রাজ্যের এক গ্র্যান্ডমাস্টারকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে ছবি শুধু প্রবাসী বাঙালি নয়, ভিন্দেশিকেও আকর্ষণ করবে বলে ধারণা টিম দাবাড়ুর!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy