Advertisement
২০ মে ২০২৪
Love Story

পাত্রের বয়স ১০০, পাত্রী ৯৬! হবু বর-কনের প্রেমকাহিনি হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও

যে কোনও বয়সেই প্রেম আসতে পারে জীবনে। তা পরিণতিও পেতে পারে। হ্যারল্ড এবং শার্লিনের প্রেমকাহিনি তেমনই এক কিস্‌সা।

প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন দু’জনে।

প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন দু’জনে। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ১৩:১৫
Share: Save:

পাত্রের বয়স ১০০, পাত্রী ৯৬। প্রেমের কোনও বয়স হয় না। গল্পে, উপন্যাসে, বাস্তবে এর আগে বহু বার তা প্রমাণিত হয়েছে। ফের এক বার সে কথা মনে করিয়ে দিল নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা হ্যারোল্ড টেরেন্স এবং জেনি শার্লিনের প্রেমকাহিনি। প্রেম পরিণতিও পেতে চলেছে। কিছু দিন পরেই দু’জনে সংসার পাতবেন। তারই প্রস্তুতি চলছে।

হ্যারোল্ড বায়ুসেনায় কাজ করতেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনা চলাকালীন বায়ুসেনায় যোগ দেন হ্যারোল্ড। তখন হ্যারল্ডের বয়স ২০। চাকরি সূত্রে ইংল্যান্ড পাড়ি দেন। কয়েক বছর সেখানেই ছিলেন। হঠাৎই ইংল্যান্ড ছেড়ে যাযাবর হয়ে যান। ইউক্রেন, বাগদাদ, তেহরান-সহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে কাজ করতে থাকেন। বেশ কয়েক বছর এ ভাবে চলার পর জীবনে থিতু হতে চান তিনি। তাই আবার আমেরিকায় ফিরে আসেন। নিজের মাটিতে ফিরে নতুন জীবনও শুরু করেন। সংসার পাতেন দীর্ঘ দিনের বন্ধু থেলমার সঙ্গে। বছর দুয়েকের মধ্যে দুই সন্তান আসে। স্ত্রী, সন্তানকে ছেড়ে কাজে ফেরার ইচ্ছা ছিল না হ্যারোল্ডের। কিন্তু স্ত্রীর জোরাজুরিতেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। হ্যারল্ড চলে যাওয়ার পর সংসার এবং সন্তানের সমস্ত দায়িত্ব গিয়ে পড়ে থেলমার উপর। দায়িত্ব পালনে অবশ্য কোনও ত্রুটি রাখেননি তিনি। সন্তানেরাও বড় হয়ে নিজেদের মতো জীবন গুছিয়ে নেয়।

জীবনের অধিকাংশ সময় পরিজনদের সঙ্গ পাননি। জীবনের শেষটা এমন হোক, তা চাননি হ্যারল্ড। তাই ২০২১ সালে চাকরি থেকে পুরোপুরি অবসর নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু নিয়তিতে যা লেখা থাকে, তার অন্যথা হওয়ার জো নেই। হ্যারল্ড বাড়ি ফেরার মাসখানেকের মধ্যে মারা যান থেলমা। দুই ছেলে কাজের সূত্রে ভিন্‌দেশে। স্ত্রীর মৃত্যুর আবার একা হয়ে যান বৃদ্ধ হ্যারল্ড। তাঁর এই নিঃসঙ্গ জীবনে হঠাৎই আলাপ জেনির সঙ্গে। জেনি অবিবাহিত ছিলেন। মনের মতো কাউকে পাননি, তাই সংসারও পাতা হয়নি। ৯৬ বছর বয়সে হ্যারল্ডের সঙ্গে আলাপ হওয়র পর জেনির মনে হয়েছিল, এই মানুষটিরই অপেক্ষা করছিলেন। তাই সময় নষ্ট না করে নিজেই মনের কথা খোলসা করেন। একা থাকতে আর কে চায়! তাই আর দেরি করেননি, জেনির সঙ্গে জীবনের বাকি দিনগুলি হেসেখেলে কাটিয়ে দিতে চেয়ে আবার নতুন করে শুরু করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Love Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE