Origin of Begampuri Saree

পুজোর বাজারে দারুণ ট্রেন্ডিং বেগমপুরী শাড়ি, এর শিকড় কোথায় জানেন, বৈশিষ্ট্যই বা কী?

পুজোর শপিং শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। আর এ বারের পুজোর বাজারে অন্যতম ট্রেন্ডিং হল বেগমপুরী শাড়ি। জানেন এই শাড়ির ইতিহাস, এবং বৈশিষ্ট্য কী?

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৬:০৯
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

পুজোর শপিং শুরু হয়ে গিয়েছে? এ বার কি আরও অনেকের মতোই আপনারও ট্রেন্ডিং বেগমপুরী শাড়ি কেনার ইচ্ছে রয়েছে? তা হলে তার আগে জেনে নিন এই জনপ্রিয় শাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস এবং এর বৈশিষ্ট্য কী।

Advertisement

বেগমপুরী শাড়ির ইতিহাস

বেগমপুরী শাড়িটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হুগলি জেলা। এখানকার বেগমপুর শহরের নামেই নামাঙ্কিত এই শাড়ি। ফলে বুঝতেই পারছেন হুগলি জেলার এই জায়গায় তৈরি হয় বেগমপুরী শাড়ি। বেগমপুরের খরসাই গ্রামে প্রাচীন এবং এক বিশেষ পদ্ধতিতে তাঁতিরা এই কাপড় বুনে থাকেন।

বেগমপুরী শাড়ি বা কাপড়ের বৈশিষ্ট্য কী?

বেগমপুরী শাড়ি যেহেতু হ্যান্ডলুম শাড়ি সেহেতু এই শাড়িগুলি অত্যন্ত হালকা হয়, ফলে পরলে কষ্ট হয় না। এই ধরনের শাড়ি বা পোশাকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কনট্রাস্টিং পাড় দেখা যায়। কেবল পাড়ে নয়, শাড়ির ভিতর এবং পাড়েও বৈচিত্র্য থাকে। এতে যেমন নকশা পাড় দেখা যায়, তেমনই গঙ্গা-যমুনা বা মন্দির পাড়ও দেখা যায়।

এই শাড়ি বানানোর জন্য কিনে আনা সুতোগুলিকে ছাড়িয়ে জলে বিভিন্ন দ্রবণ এবং কাঁচা মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে রং করা হয় প্রথমে। তার পর সেগুলিকে রোদে শুকানো হয়। সুতোগুলি শুকিয়ে গেলে হ্যান্ডলুম মেশিনের সময় কাপড় বোনা শুরু করেন তাঁতিরা। আজকাল এই শাড়ি বুননের জন্য পাওয়ারলুমেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। শাড়ি বোনা হয়ে গেলে তাতে মাড় দেওয়া এবং পরিষ্কার জলে ধোয়া হয়ে থাকে।

তা হলে কী ভাবছেন, এ বার পুজোয় একটা বেগমপুরী শাড়ি কিনেই ফেলবেন নাকি? এটিকে কিন্তু কেবল শাড়ি হিসেবে পরা যাবে এমনটা নয়, চাইলে হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ড মেনে পুরুষরা এই শাড়ি দিয়ে ধুতিও পরতে পারেন। সুতি কিংবা ঢাকাই কাজের পাঞ্জাবির সঙ্গে কিন্তু মন্দ লাগবে না! চাইলে কিন্তু সোজাসুজি বেগমপুর গিয়েও এই শাড়ি কিনতে পারেন। তার জন্য হাওড়া বর্ধমান লাইনের ট্রেনে উঠে পড়ুন। বেগমপুর স্টেশনে নেমে সোজা তাঁতিঘর থেকে কিনে আনুন পছন্দসই শাড়িটি।

এই প্ৰতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন