আনারকলি স্যুট: আনারকলি স্য়ুট এ বারও পুজোর ফ্যাশনে ইন। এই ধরনের পোশাকে আপনি যেমন সাবলীল ভাবে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে ঠাকুর দেখতে পারবেন, তেমনই নিজেকে সাজাতে পারবেন একই সঙ্গে জমকালো ও মার্জিত ভাবে। দিনে পরবেন না রাতে, সেই অনুসারে হালকা বা ভারী কাজের আনারকলি স্যুট বেছে নিতে পারেন।
সঙ্গে মানানসই গয়না আর মেকআপ। তাতেই আপনি হয়ে উঠবেন মধ্যমণি!
শারারা সেট: ইদানীং কালে এই পোশাকটির চাহিদা তুঙ্গে। জমকালো কারুকাজ এবং বিশাল ঘের বা বহরের জন্য এর একটা রাজকীয় লুক রয়েছে। বিশেষত অষ্টমী বা নবমীর রাতে শারারায় সেজে চমকে দিতেই পারেন সকলকে।
কুর্তা ও পালাজো: পালাজো এখন অনেকেই পছন্দ করছেন। ঢলঢলে এই প্যান্ট ভীষণ আরামদায়ক। সঙ্গে যদি মানানসই কুর্তা পরেন, তা হলেই আপনার পুজো-স্পেশাল লুক তৈরি! দিনে বা রাতে, যখন খুশি পরুন। সঙ্গে পছন্দসই গয়না আর সময় অনুযায়ী হালকা বা ভারী মেকআপ। ব্যস!
লেহঙ্গা বা ঘাগরা: লেহঙ্গা বা ঘাগরা কখনও পুরনো হতে পারে না। পুজোর সাজেও বরাবরই তার আলাদা কদর। চাইলে হালকা বা ভারী কারুকাজ করা সাবেক লেহঙ্গা কিংবা ঘাগরার সেট পরতে পারেন। অথবা লেহঙ্গা কিংবা ঘাগরা স্টাইলের স্কার্টও পরতে পারেন। সঙ্গে জুটিতে শার্ট কিংবা পশ্চিমি কোনও টপও থাকতে পারে।
ধুতি প্যান্ট ও ক্রপ টপ: ধুতির মতো দেখতে প্যান্ট, সঙ্গে খাটো ঝুলের টপ - এমনটা এখন ভীষণ ট্রেন্ডিং। এই স্টাইল পুজোর সময়েও দিব্যি চলতে পারে। এই ধরনের পোশাক ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন সাজের আদর্শ উদাহরণ।
প্রি-ড্রেপড শাড়ি: এ বার পুজোয় আদর্শ সাজের তালিকায় জায়গা পেতেই পারে প্রি-ড্রেপড শাড়ি। কারণ, কুঁচি বা আঁচল আগে থেকেই করা থাকে এই শাড়িতে। ফলে পরতে বা সামলাতে কোনও ঝক্কি নেই। শাড়ি পরতে অনভ্যস্তরা বিকল্প হিসাবে তার এই আধুনিক সংস্করণে কাজ চালাতেই পারেন।
গাউন: ইদানীং গাউন পরার চল ভালই দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমি এই পোশাকের সঙ্গে ভারতীয় শৈলীর মিশেলও ঘটছে। দুর্গাপুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্যের এই মেলবন্ধন আপনার পোশাকেও থাক না!
গাউনের মতোই ছোট বা মাঝারি ঝুলের ড্রেস এখন ফ্যাশনে। এই ড্রেস যেমন খুব ছিমছাম হতে পারে, তেমনই তাতে জমকালো কাজও থাকতে পারে। পছন্দ আপনার।
জিন্স: আজকালকার মেয়েদের ফ্যাশনে জিন্সের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। যাঁরা পুজোতেও সাজ নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটতে চান না, তাঁরা জিন্স পরতেই পারেন। সঙ্গে টিশার্ট, কুর্তা, কামিজ, শর্ট টপ সবই পরা যায়। সাজুগুজু কিছু কম হবে না তাতে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)