সন্তান খুব ছোট হলে তাকে নিয়ে বেড়াতে যেতে চান না অনেকেই। নানা অসুবিধায় পড়তে হবে, এই ভয়েই পিছিয়ে যান। কেউ কেউ আবার গিয়ে হাজার ঝক্কি সামলান, বিপদে পড়েন। আপনিও কি আপনার বাড়ির একরত্তিকে নিয়ে এ বার পুজোয় চেনা ভিড়, জাঁকজমক এড়িয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? তা হলে জেনে নিন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতেই হবে স্ট্রেস-বিহীন ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য। চোখ বুলিয়ে নিন নীচের তালিকায়।
বেড়াতে যাওয়ার দিন বা তার আগের দিন তাড়াহুড়ো করে প্যাকিং করার বদলে আগে থেকেই একটি তালিকা বানিয়ে রাখুন। পরে নতুন কোনও কিছু মনে পড়লে তাতে যোগ করে দেবেন। এতে গুছিয়ে, সুন্দরভাবে প্যাকিং করতে পারবেন। ভুল হবে না।
নতুন জায়গা, নতুন মানুষ, অচেনা শব্দের ভিড়ে ছোটরা অনেক সময়েই ঘাবড়ে যায় বা ভয় পায়। বেড়াতে গিয়ে বদলে যায় তাদের চেনা রুটিনও। তাই পুঁচকেকে শান্ত রাখতে তার চেনা চাদর, পছন্দের খেলনা সঙ্গে রাখুন।
একটা আলাদা ব্যাগ রাখুন ডায়পার রাখার জন্য। সেখানে কেবল ডায়পার নয়, ওয়াইপস, রুমাল, প্রয়োজনীয় ক্রিম, একটা অতিরিক্ত জামা, ছোট তোয়ালে রাখুন। এই ব্যাগটিকেই ইমারজেন্সি কিট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
ছোটদের অনেকেই বাইরে খাবার খাওয়াতে চান না। আর দুধের শিশু হলে তো কথাই নেই! তাই বেড়াতে গেলে তরলজাতীয় কোনও খাবারের বদলে ফল, ড্রাই ফ্রুটস, ওয়াফল রাখতে পারেন সঙ্গে। সন্তান একরত্তি হলে তার জন্য দুধ এয়ার-টাইট বোতলে রাখুন। এতে চলকে পড়া, বা জায়গা অপরিষ্কার হওয়ার ভয় থাকবে না।
গাড়ি করে ভ্রমণের সময়ে সন্তানকে এমন সিটে বসান যেখানে সে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে, আবার প্রয়োজনে ঘুমিয়েও নিতে পারবে। দরকারে তাকে সিট বেল্ট পরিয়ে বসান নিরাপত্তার জন্য।
একরত্তিকে কোলে করে অনেকক্ষণ ঘুরতে গিয়ে বাবা মায়েরা অনেক সময়েই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাই আপনার সন্তান যদি খুবই ছোট হয়, তবে স্ট্রলার বা ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখবেন। জ্বর, সর্দি, কাশি তো বটেই, বমি, পেট খারাপের ওষুধও যেন থাকে। স্যানিটাইজার, ব্যথা কমানোর স্প্রে, মশা তাড়ানোর রোল অন, ব্যান্ড এইড-ও রাখুন ওষুধের ব্যাগে।
রাতে যখন সেই অর্থে কিছু করার থাকবে না বা বেড়াতে বেরোচ্ছেন না, তখন সন্তানকে ব্যস্ত রাখার জন্য তার কিছু খেলনা সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যান। রাখতে পারেন আঁকার খাতা, রং-ও।
তা হলে আর কী! এই সহজ টিপসগুলি মনে রাখুন আর পরিবারের ছোট্ট সদস্যকে নিয়ে মন ভরে উপভোগ করুন পুজোর সফর। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)