IndiGo Flight Operations Hit

ইন্ডিগোকাণ্ডের তদন্তে এ বার প্রতিযোগিতা কমিশনও, চাপ বাড়ল বিমান সংস্থার উপর

প্রতিযোগিতা কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জমা পড়া বিভিন্ন অভিযোগ এবং তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করবে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪০

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পরিষেবা বিপর্যয়ের ঘটনায় বিপাকে পড়া উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোর উপর চাপ আরও বাড়ল। বৃহস্পতিবার দেশের প্রতিযোগিতা কমিশন জানিয়েছে, ইন্ডিগো-কাণ্ডে তদন্ত করবে তারাও। কমিশনের ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে উড়ান সংস্থাটির কর্মীদের উদ্দেশে সিইও পিটার এলবার্সের বার্তা, খারাপ সময় কেটে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন পরিষেবাকে শক্তপোক্ত করে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে হবে। উল্লেখ্য, নতুন উড়ান বিধি কার্যকর করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইন্ডিগোর পরিষেবা। নাকাল হতে হয়েছিল কয়েক হাজার যাত্রীকে। উড়ান সংস্থাটি এখন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রকের আতসকাচের তলায়।

এ দিন প্রতিযোগিতা কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জমা পড়া বিভিন্ন অভিযোগ এবং তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করবে তারা। তা শেষ হলে প্রতিযোগিতা বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ের সবিস্তার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে নিয়ন্ত্রকটির তদন্তকারী শাখাকে।

সম্প্রতি উড়ান পরিষেবার নতুন বিধি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিল বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ। সেখানে বিমানচালকদের কাজ, বিশ্রাম এবং ছুটির সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তা কার্যকর করতে গিয়েই দেখা যায়, ইন্ডিগোর হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নেই। ফলে চলতি মাসের শুরু থেকে প্রায় দু’সপ্তাহ লাগাতার সংস্থাটির উড়ান বাতিল হতে থাকে। ভাড়া বাড়াতে থাকে প্রতিযোগী সংস্থাগুলি। সব মিলিয়ে প্রবল হয়রানির মুখে পড়েন যাত্রীরা। এর পরেই বিধি কার্যকরের সময় পিছিয়ে দেয় ডিজিসিএ। কিন্তু ইন্ডিগোকে নির্দেশ দেয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করতে।

এই পরিস্থিতিতে এ দিন ইন্ডিগোর কর্মীদের একটি অভ্যন্তরীণ বার্তা পাঠিয়েছেন সিইও। সেখানে তাঁর বক্তব্য, গত দু’সপ্তাহ সংস্থা সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কর্মীদের সম্মিলিত চেষ্টায় সেই জায়গা থেকে বার হয়ে আসা গিয়েছে। এ বার যাবতীয় ঝড়ঝাপটা সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশে তিনটি বার্তা

দিয়েছেন—

  • চলতি সপ্তাহে খারাপ আবহাওয়া এবং বিঘ্নিত পরিষেবা সংক্রান্ত নীতি কার্যকর হয়েছে। এরই মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
  • সংস্থার বাইরের এক জন উড়ান বিশেষজ্ঞকে সমস্যার কারণ খুঁজে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা পড়ার আগে যেন কর্মীরা কোনও জল্পনার ফাঁদে পা না দেন।
  • তিনি এবং সংস্থার পদস্থ আধিকারিকেরা বিভিন্ন শহরে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। নেবেন তাঁদের পরাম
আরও পড়ুন