—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরানো গেলে প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া সম্ভব। মোদী এখন তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলাচ্ছেন। আর তাঁর সরকারই সোমবার লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে জানাল, ‘কালো টাকা’ বলে কিছু হয় না! গত এক দশকে কত কালো টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, সে সম্পর্কেও কোনও হিসাব কেন্দ্রের কাছে নেই!
এ দিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্ন ছিল, শেষ ১০ বছরে কত পরিমাণ কালো টাকা দেশে ফেরানো গিয়েছে? একই সময়ে কত কালো টাকা ভারত থেকে বিদেশে পাচার করা হয়েছে?
কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, ১৯৬১ সালে আয়কর আইন কিংবা ২০১৫ সালের কালো টাকা (লুকোনো বিদেশি আয় ও সম্পদ) এবং আয়কর আরোপ আইনে ‘কালো টাকা’ বলে কোনও কথা নেই। দ্বিতীয় আইনটিতে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে তিন মাসের মধ্যে ৪১৬৪ কোটি টাকার লুকোনো বিদেশি সম্পদ ঘোষণা করেছিলেন করদাতারা। সেই সময় কর এবং জরিমানার মাধ্যমে ২৪৭৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নে মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই।
পরে মালা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের নাটক করতে নিষেধ করেছেন। বাস্তব হল, তিনি নিজেই নাটক করছেন। তিনি বলেছিলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এখন সরকার বলছে কালো টাকা বলে কিছু হয় না।’’