Compassionate Appointment

সহানুভূতি-নিয়োগ ব্যতিক্রমী, এ ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকলেই উঁচু পদের অধিকার দাবি করা যায় না! জানাল সুপ্রিম কোর্ট

তামিলনাড়ুর দুই বাসিন্দা প্রথমে সহানুভূতি-নিয়োগে সাফাইকর্মী পদে চাকরি পান। পরে উভয়েই দাবি করেন, তাঁরা তুলনামূলক উঁচু পদের যোগ্য। হাই কোর্টও তাঁদের পদোন্নতির নির্দেশ দিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১০
সহানুভূতি-নিয়োগকে সাধারণ নিয়োগ বিধিমালার ব্যতিক্রম হিসাবে দেখতে হবে। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সহানুভূতি-নিয়োগকে সাধারণ নিয়োগ বিধিমালার ব্যতিক্রম হিসাবে দেখতে হবে। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।

সহানুভূতি-নিয়োগ ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়। উঁচু পদে নিয়োগের যোগ্যতা থাকলেও সহানুভূতি-নিয়োগের ক্ষেত্রে কেউ সেই পদ দাবি করতে পারেন না। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে, তাঁর উপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনও সদস্যকে সহানুভূতির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ওই নির্ভরশীল ব্যক্তি কোনও উঁচু পদের যোগ্য হলেও সহানুভূতি-নিয়োগে তিনি সেই পদে নিয়োগের অধিকার দাবি করতে পারেন না বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “মৃত কর্মীর উপরে নির্ভরশীল ব্যক্তি যোগ্য হলেও সহানুভূতির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও পদে নিয়োগকে তিনি অধিকার হিসেবে দাবি করতে পারেন না। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে এই ধরনের নিয়োগ করা হয়। এগুলিকে নিয়োগের সাধারণ বিধিমালার ব্যতিক্রম হিসাবে দেখতে হবে।”

তামিলনাড়ু সরকারের দুই পৃথক মামলায় সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ুর দুই ব্যক্তিকে সহানুভূতি-নিয়োগ দিয়েছিল প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে সরকারের তরফে তাঁদের সাফাইকর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু পরে উভয়েই দাবি করেন, তাঁরা তুলনামূলক উঁচু পদে নিয়োগের যোগ্য। জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিযুক্ত হওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। এই নিয়ে প্রথমে মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলা হয়। সেই সময়ে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল উভয়কেই জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে উন্নীত করতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তামিলনাড়ু সরকার।

শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, এ ধরনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর যোগ্যতাই তাঁকে উঁচু পদে নিয়োগের দাবিকে বাস্তবায়িত করার জন্য যথেষ্ট কারণ হতে পারে না। আদালত জানিয়েছে, যখন সহানুভূতির ভিত্তিতে সাফাইকর্মী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তখন তাঁরা সেই চাকরি গ্রহণ করেন। ফলে সহানুভূতি-নিয়োগের উদ্দেশ্য সেখানেই পূরণ হয়ে গিয়েছে। এর পরে আরও উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য তাঁরা পূর্বের সহানুভূতি-নিয়োগকে পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাতে পারেন না। এই দাবি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন