গ্র্যাচুইটির নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্র। —প্রতীকী ছবি।
গ্র্যাচুইটির জন্য আর পাঁচ বছরের অপেক্ষা নয়। এক বছর কাজ করলেই মিলবে ওই টাকা। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের এ বার সেই সুখবর শোনাল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুক্রবার, ২১ নভেম্বর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে শ্রম মন্ত্রক। সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়িজ়রা এই সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের আরও কিছু সুখবর শুনিয়েছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় রয়েছে ছুটি, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় এবং সামাজির সুরক্ষা। এই তিন ক্ষেত্রে স্থায়ী কর্মীদের সমান সুবিধা ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়িজ়দের দিতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য কমবে বলে মনে করছে সরকার।
শুক্রবার, এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেন, ‘‘নতুন শ্রম বিধির আওতায় একাধিক প্রতিশ্রুতি (পড়ুন গ্যারান্টি) দিচ্ছে মোদী সরকার। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেক কর্মীর ন্যূনতম বেতন, যুবক-যুবতীদের নিয়োগপত্র দেওয়া, মহিলা কর্মীদের সমবেতন এবং সমসম্মান, ৪০ কোটি শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সি কর্মীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।’’
এর পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় কাজ করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দ্বিগুণ বেতন প্রদানের কথা বলেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। নতুন নিয়মে বিপজ্জনক ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকরা পাবেন ১০০ শতাংশ স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি। উল্লেখ্য, এত দিন শ্রম আইনের ২৯টি আলাদা আলাদা বিধি ছিল। এতে সরলীকরণ আনতে সেগুলিকে একীভূত করে পাঁচ বছর আগে সংসদে পাশ হয় চারটি শ্রম বিধি। এ বার তার বিজ্ঞপ্তি জারি করল মোদী সরকার। নতুন নিয়মে বেতন বিধি, শিল্প সংক্রান্ত বিধি, সামাজিক সুরক্ষা বিধি এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত বিধির কথা বলেছে কেন্দ্র।
এখন প্রশ্ন হল কী এই গ্র্যাচুইটি? দীর্ঘমেয়াদি চাকরির কৃতজ্ঞতার প্রতীক হিসাবে নিয়োগকারী সংস্থা কর্মীদের একটি আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। এত দিন পর্যন্ত পাঁচ বছর কাজের পর এককালীন টাকা পেতেন কর্মীরা। চাকরি থেকে অবসর, পদত্যাগ বা সংস্থা বদল করলেও এই আর্থিক সুবিধা মিলত। সেই সময়সীমা কমিয়ে এ বার এক বছর করল কেন্দ্র।
গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় কারখানা, খনি, তেলক্ষেত্র, বন্দর এবং রেল পরিষেবা-সহ বহু কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বেসরকারির পাশাপাশি সরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মচারীরাও এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।