—প্রতীকী চিত্র।
বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইউরেনিয়াম উত্তোলন এবং আমদানির অনুমতি দিতে চলেছে কেন্দ্র, জানাল সরকারি সূত্র। এখনও পর্যন্ত এই তেজস্ক্রিয় খনিজটির উপরে কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তা খনন, আমদানি এবং প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির এই উপাদানটির অপব্যবহার আটকাতেই এই রাশ। বিকিরণজনিত ক্ষতি এবং দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের আশঙ্কা রোখাও উদ্দেশ্য। এ বার সেই নীতি বদলাতে চলেছে মোদী সরকার।
সূত্রের দাবি, সরকার দেশে পরমাণু বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে। লক্ষ্য, ২০৪৭-এ স্বাধীনতার একশো বছরে তা বর্তমানের ১২ গুণ বৃদ্ধি। পরিকল্পনা সফল হলে ভারতের বিদ্যুতের মোট চাহিদার ৫% হবে পরমাণু বিদ্যুৎ। বাজেটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষেই তার নীতি পেশ হতে পারে বলে খবর। তবে এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রক, পারমাণবিক বিদ্যুৎ দফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করেনি। এর আগে বিদেশি সংস্থাগুলির জন্য ভারতের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অংশীদারি কেনার শর্ত শিথিল করার কথা বলেছে সরকার।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় ৭৬,০০০ টন ইউরেনিয়াম মজুত আছে। যা ১০,০০০ মেগাওয়াটের পরমাণু কেন্দ্রে ৩০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে লাগানো সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ২৫% এই ভাবে আসতে পারে। তাই দেশে ইউরেনিয়াম আমদানি করতে হবে এবং শোধন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।