এলআইসি ভবন। নিজস্ব চিত্র।
জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) টাকা আদানি গোষ্ঠীর সংস্থায় লগ্নি করা নিয়ে বহু দিন ধরেই চলছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের দাবি ছিল, মোদী সরকার এলআইসি-তে জমা মানুষের টাকা দিয়ে আদানিদের নগদের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করেছে। কেন্দ্র বলেছিল, পুরোটাই লগ্নির প্রক্রিয়া। এলআইসি-র টাকা বহু বেসরকারি সংস্থায় খাটে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ফের আদানি প্রশ্নে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করল কেন্দ্র। দাবি করল, কোনও শিল্প গোষ্ঠীতে এলআইসি-র লগ্নির ক্ষেত্রে প্রথম তিনে নেই গৌতম আদানির সংস্থা। সর্বাধিক পুঁজি গিয়েছে টাটা গোষ্ঠীতে (৮৮,৪০.২৮ কোটি টাকা)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে এইচডিএফসি (৮০,৮৪৩.০১ কোটি) ও রিলায়্যান্স (৬০,০৬৫.৫৬ কোটি)। চতুর্থ আদানি (৪৭,৬৩৩.৭৮ কোটি)। ৪৬,৬২১.৭৬ কোটি নিয়ে পঞ্চম এসবিআই।
আজ সংসদে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন এলআইসি-র লগ্নি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরির আরও দাবি, বিমা সংস্থাটির পর্ষদের নির্দিষ্ট লগ্নি নীতি রয়েছে। যার অধীনে ঝুঁকি-সহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয় লগ্নি বিভাগ। প্রতি বছর লগ্নি প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হয়।