প্রদেশের রাজধানী সিডনিতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপরে বন্দুকবাজের হামলার প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস কঠোরতর বন্দুকনীতির পথে হাঁটছে। কেউ সর্বাধিক কতগুলি বন্দুক রাখতে পারবেন, প্রস্তাবিত নতুন আইনে সে সংখ্যা যেমন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনই জমায়েত বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার পরিকল্পনা। নিষিদ্ধ হতে চলেছে প্যালেস্টাইন-পন্থী স্লোগান ‘গ্লোবালাইজ় দি ইন্তিফাদা’। ফলে, প্রদেশের প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস-এর উপরে দক্ষিণপন্থীরা চটেছেন, বামপন্থীরাও। কোনও ঘটনা যত ভয়ঙ্করই হোক, তার প্রতিক্রিয়ায় মানুষের বিক্ষোভ প্রদর্শন, বা কোনও বৈশ্বিক প্রশ্নে আদর্শগত ঐক্য প্রকাশের মতো অধিকার খর্ব করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বন্দুকপন্থীরা অবশ্য ‘শান্তিপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ান’দের বন্দুকের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে ভেবেই কাতর।
সক্রিয়: সিডনিতে বন্দুক-হামলার পর সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রিস মিনস। ছবি: রয়টার্স।
কেবলই ছবি
জেফ্রি এপস্টাইন-কাণ্ডে বেশ কিছু ফাইল প্রকাশ্যে এনেছে আমেরিকা। তার মধ্যে আছে এপস্টাইন-সকাশে বিখ্যাত মানুষদের বেশ কিছু ছবি, ডোনাল্ড ট্রাম্প-সহ। বহু ছবিরই অংশবিশেষ ‘রিডাক্টেড’, মানে আইনি বা নিরাপত্তার কারণে ঢেকে দেওয়া। তাতেই খেপেছেন ট্রাম্প-সমর্থকদের একটা বড় অংশ। এঁদের অনেকেই সমাজমাধ্যম-ইনফ্লুয়েন্সার, পডকাস্টার; তারও বড় কথা, ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’-এ গভীর বিশ্বাসী: এপস্টাইন-কাণ্ডে নানা জল্পনা এত কাল জিইয়ে রেখেছিলেন আন্তর্জালে। এখন এই সব ঢাকাচাপা ছবি দেখে তাঁরা চরম খাপ্পা দেশের বিচারবিভাগের উপরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ এক অদ্ভুত মনোভাব: কোন নথি বা ছবি প্রকাশ্যে আসছে তা নিয়ে এই লোকেদের মাথাব্যথা নেই, তাঁরা যেটা বিশ্বাস করেন তার সমর্থনে কিছু সামনে এল কি না তা-ই তাঁদের ভাবনা।
বরফে হাঁটে উট
জলবায়ু পরিবর্তনের কবলে সৌদি আরব। চড়চড়ে তাপের জন্য পরিচিত দেশটির উত্তরাঞ্চলের মরুভূমির বড় অংশে বরফের মোটা আস্তরণ, কিছু উষ্ণ এলাকাতেও বরফ পড়ছে, নামছে বৃষ্টি। দেশের উত্তরের উঁচু পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত আগেও কখনওসখনও হয়েছে, তবে সমতলের বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে এমন আবহাওয়া অতি-বিরল। ভূমধ্যসাগরে উৎপন্ন গভীর নিম্নচাপ ঠান্ডা বাতাসকে ঠেলে দিয়েছে আরব উপদ্বীপের দিকে। এখানে বৈশ্বিক গড়ের প্রায় দ্বিগুণ হারে উষ্ণায়ন হচ্ছে, চরম আবহাওয়া তারই পরিণাম। তবে, ঘাবড়ে না গিয়ে এর থেকেই অর্থনৈতিক লাভের পরিকল্পনা ছকে নিয়েছে দেশটি। সারাওয়াত পর্বতশ্রেণির সুউচ্চে ‘ত্রোজেনা’ নামে শীতকালীন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে, ২০২৯-এ সেখানে এশিয়ান উইন্টার গেমস আয়োজিত হবে। ইতিমধ্যেই মানুষ স্লেজিং উপভোগ করছেন, মরু-তুষারে উট চলার দৃশ্য ভাইরাল। কাঁটা যখন বেছে খাওয়ার উপায় নেই, তখন তারা বরফ চুষে খাচ্ছে কি না, তা অবশ্য জটায়ু জানেন।
পুতুল খেলা
জাপান, হংকং-এর মতো দক্ষিণ কোরিয়াতেও প্রবীণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি বহু দিন ধরেই প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিকে ‘অতি-বয়স্ক’দের সমাজ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। একাকিত্বের জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এই সব নিঃসঙ্গ প্রবীণকে ব্যবহারিক সহায়তার পাশাপাশি মানসিক সহায়তা দিতে সরকারের তরফে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম মেধা চালিত রোবট পুতুল। সমীক্ষা বলছে, সুফল মিলেছে তাতে। পরিস্থিতি যা, তাতে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত পুতুলই মানুষের একাকিত্বের সঙ্গী হতে চলেছে।
শেষ চিঠি
চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চালু থাকা ডাকব্যবস্থা এ বার বন্ধ হচ্ছে ডেনমার্কে। শেষ চিঠি বিলি হবে ৩০ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই নিলামে বিক্রি হয়ে গিয়েছে এক হাজার ডাকবাক্স। নিলাম শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই বেশ ভাল দামে বিক্রি হল ডাকবাক্সগুলি। ডেনমার্ক প্রবল ডিজিটাল— এই শতকে সে দেশে চিঠির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৯০ শতাংশেরও বেশি। এ দিকে, তরুণ প্রজন্ম নাকি নতুন করে ভালবাসতে আরম্ভ করেছে হাতে লেখা চিঠিকে। একটি সমীক্ষা বলছে, ১৮-৩৪ বছর বয়সিরা অন্যদের তুলনায় দু’তিন গুণ বেশি চিঠি লেখেন। তাঁদের চিঠি এ বার বিলি করবে কে? বিকল্প ব্যবস্থা আছে, তবে তাতে খরচ বেশি।