teacher assault child

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে, বিবাদ গড়াল থানায়

আক্রান্ত মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পর তার সহপাঠীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। সহপাঠী তখন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের শিক্ষিকা আক্রান্ত ছাত্রীটিকে প্রথমে ছাতা দিয়ে মারেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ২১:৩৪

ছবি: সংগৃহীত।

চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবারের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

মানিকতলা থানা এলাকার বাণীপীঠ প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। আক্রান্ত পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, ১৬ জুলাই স্কুলে যাওয়ার পর তার সহপাঠীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। সহপাঠী তখন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের শিক্ষিকা ছাত্রীটিকে প্রথমে ছাতা দিয়ে মারেন। পরে কানের নীচে চড় মারারও অভিযোগ করেছে পরিবার। তারপরেই বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটিকে। আক্রান্ত ছাত্রীর মা অঞ্জলি হালদার বলেন, ‘‘মেয়ে এই ঘটনার জেরে বাড়ি ফেরার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকেলে তার জ্বরও আসে।’’

পরিবারের আরও দাবি ঘটনার দিন স্কুল থেকেই ফোন করে জানানো হয়, তার মেয়ে সহপাঠীর সঙ্গে অভব্য আচরণ ও ঝামেলা করেছে। স্কুলে দেখা করতেও বলা হয় তাদের। সেই সঙ্গে সাত দিন মেয়েকে স্কুলে না পাঠানোরও নির্দেশ দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

পরিবারের তরফে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসার পরই ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তাঁকে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ছাত্রীর মুখ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমকে স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা মৌমিতা শূর বলেন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রীটি তার সহপাঠীকে চাবির রিং দিয়ে মাথায় মারে। তার ফলে তার মাথা কেটে রক্ত বার হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। সে ভাবে কোন‌ও মারধর করা হয়নি। তবে পড়ুয়ার স্বার্থে পরিবারকে বিষয়টি আর জটিল না করে পুনরায় তাকে স্কুলে পাঠাতে বলে স্কুল।

অন্য দিকে এই ঘটনার জেরে বুধবার আক্রান্ত ছাত্রীটির মাকে পুলিশ ডেকে পাঠায়। অঞ্জলির দাবি, সেখানে থানা থেকে স্কুলের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কথায়, ‘‘আমার মেয়ে এই ঘটনার জেরে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে রয়েছে। সে কোনও মতেই ওই স্কুলে যেতে নারাজ। স্কুলে পাঠালে যে আর ওঁকে মারধর করা হবে না, তা নিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন