APC college seminar

জীববিজ্ঞান চর্চায় লুকিয়ে পদার্থবিদ্যার থিয়োরি, বিশেষ আলোচনায় বিশেষজ্ঞেরা, শামিল কলেজ পড়ুয়ারাও

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণার বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা কী ভাবে জীববিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার কাজে আরও সহায়ক হয়ে উঠতে পারে, তা নিয়েও চর্চা চলে।ca

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ১৩:২৮
Acharya Prafulla Chandra College hosts a seminar on Physics in biology.

পরামর্শ দেন বোস ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক গৌতম বসু। ছবি: সংগৃহীত।

পদার্থবিদ্যার থিয়োরি জীববৈচিত্রের কোষবিন্যাস চর্চায় অন্যতম সহায়িকা হয়ে উঠতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। তিনিই প্রথম সালোকসংশ্লেষের বিভিন্ন দিক নিয়ে চর্চার ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যার তত্ত্বকে কাজে লাগিয়েছিলেন। এমনই একাধিক গবেষণালব্ধ বিষয় নিয়ে নিউ ব্যারাকপুরের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছিল।

Advertisement

বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা, মাইক্রোবায়োলজি, জীববিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান শাখার অন্যান্য বিষয় নিয়ে পাঠরত পড়ুয়ারা এই আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে বোস ইনস্টিটিউট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞেরা উল্লিখিত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়গুলি আলোচনা করেন।

তবে শুধুমাত্র আলোচনাই নয়, পাঠ্যক্রম, বইয়ের গতানুগতিক থিয়োরির বাইরে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য কী কী করা প্রয়োজন, তা নিয়েও পরামর্শ দেন বোস ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক গৌতম বসু। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘গবেষণা থেকে প্রাপ্ত উত্তর গবেষকের সন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠুক, কোনও পুরস্কার যেন সেই অনুভূতির সমতুল্য না হয়ে ওঠে।’

More than a hundred students participated in the seminar.

শতাধিক পড়ুয়া সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।

এ ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জয়শ্রী সাহা সেল বায়োলজি এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় কী ভাবে ভবিষ্যৎ চর্চার নতুন পথ প্রশস্ত করে তুলছে, তা নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি কম্পিউটেশনাল বায়োলজি এবং মলিকিউলার মডেলিং সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেশ করেন। উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়-আমেরিকান কেমিস্ট মার্টিন কারপ্লাস প্রথম এই পদ্ধতিতে সেল বায়োলজি চর্চার পথ দেখিয়েছিলেন।

এ ছাড়াও সেমিনারে বায়োফেট (বায়োলজিক্যাল ফিল্ড-এফেক্ট ট্রান্সসিস্টরস), প্রোটিন মডেল নিয়ে গণনানির্ভর গবেষণার বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়েও আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞেরা। কলেজের তরফে পদার্থবিদ্যা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সৌরীশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা পদার্থবিদ্যার সঙ্গে অন্যান্য বিজ্ঞান নির্ভর বিষয় গবেষণার সুযোগ নিয়ে জানতে আগ্রহী। তাই ভবিষ্যতে এই ধরনের বিষয় নিয়ে আরও কর্মসূচির আয়োজন করার ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, “পরবর্তীকালে বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য অ্যাড-অন কোর্স করানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এর জন্য দ্রুতই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বোস ইনস্টিটিউট এবং সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজ়িক্সের আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন