JEE Exam Preparation 2026

বছর ঘুরতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স, কী ভাবে প্রস্তুতি নিলে হবে বাজিমাত! কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা?

জেইই মেন এবং অ্যাডভান্সড— দু’টি পরীক্ষাতেই পড়ুয়াদের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত বিষয়ের দক্ষতা খতিয়ে দেখা হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩২
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নতুন বছর শুরু হতে আর কিছুদিনের অপেক্ষা। কিন্তু বছর ঘুরলেই শুরু হয়ে যাবে জাতীয় স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগ্‌জ়ামিনেশন (জেইই)। জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে জেইই (মেন) পরীক্ষা। অন্য দিকে, জেইই (অ্যাডভান্সড) হবে মে মাসে। দেশের আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানে স্নাতকে ভর্তির সুযোগ মিলবে এই পরীক্ষাগুলিতে উত্তীর্ণ হলেই। কিন্তু সে জন্য প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত, মাথায় রাখতে হবে কোন কোন দিক— তার-ই হদিশ রইল এই প্রতিবেদনে।

Advertisement

জেইই মেন এবং অ্যাডভান্সড— দু’টি পরীক্ষাতেই পড়ুয়াদের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত বিষয়ের দক্ষতা খতিয়ে দেখা হবে। তবে সবাই জেইই অ্যাডভান্সড-এ বসতে পারবেন না। জেইই মেন-এর প্রথম পত্রে উত্তীর্ণ ২,৫০,০০০ জনই জেইই অ্যাডভান্সড-এর যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বিশেষজ্ঞেরা বলেছেন, পরীক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে ক্রমাগত অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক প্রশান্ত সাহু বলেন, “শুধু মুখস্থবিদ্যা দিয়ে এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। সমস্ত বিষয় গভীর ভাবে বুঝে পড়তে হবে। জানতে হবে সমস্ত খুঁটিনাটি।” এ জন্য পড়ুয়াদের নিজেদের বোর্ডের পাঠ্যবই ভাল ভাবে পড়তে হবে। কোনও অধ্যায় বাদ দেওয়া যাবে না, বলে তাঁর মত।

কোনও সহজ উপায় অবলম্বন করে পরীক্ষায় সাফল্য মিলবে না। কারণ, গত কয়েক বছর যা যা প্রশ্ন এসেছে তার মধ্যে থেকে কিছু প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা থাকে জেইই মেন-এ। কিন্তু জেইই অ্যাডভান্সড-এর পরীক্ষার ধরণ প্রতি বছরই বদলে যায়। তাই বিষয়ভিত্তিক পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত।

যাঁরা আগামী বছর পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের প্রস্তুতি শেষ লগ্নেই বলা চলে। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কী কী করা উচিত পরীক্ষার্থীদের? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অরুণাভ চন্দ বলেন, “এই সময়ে আর নতুন কোনও টপিক বা অধ্যায় না পড়াই ভাল। বরং যে জিনিসগুলি ইতিমধ্যেই পড়া হয়ে গিয়েছে, সেগুলিই ঝালিয়ে নেওয়া উচিত।” এরই পাশাপাশি ক্রমাগত ‘মক টেস্ট’ দেওয়া জরুরি। কী করে সীমিত সময়ের মধ্যে সমস্ত প্রশ্নের (ব্যাখ্যামূলক ও এমসিকিউ) উত্তর দিতে হবে, তা শিখে নেওয়া প্রয়োজন। অরুণাভ জানান, এমসিকিউ প্রশ্নের ক্ষেত্রে চারটির মধ্যে কোন উত্তরটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তা না জানা থাকলেও অনেক সময় আন্দাজ করা সম্ভব। তবে সে ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক ধারণা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন। মক টেস্ট-এর অনুশীলন এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যে হেতু দু’টি পরীক্ষাই হবে অনলাইনে, পরীক্ষার জন্য সঠিক কৌশল এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকাও দরকারি। অরুণাভের মতে, সীমিত সময়ের মধ্যে উত্তর চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি জানা খুব প্রয়োজন। কারণ, কোনও প্রশ্নের উত্তর একবার দিয়ে ফেলে পরে ভুল মনে হলে, তা কী ভাবে পরিবর্তন করতে হবে অনেকেই বুঝতে পারেন না। আবার আগে চেনা বা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পরে কঠিন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পদ্ধতিও আগে থেকে জেনে রাখা প্রয়োজন। তাতে অনেকটা সুবিধা হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন