Student signature

পড়ুয়ারা স্বাক্ষর করতে না পারলে করবেন অভিভাবকরা, নয়া সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে কোন‌ও বিশেষ ভাবে সক্ষম শিক্ষার্থী স্বাক্ষর না করতে পারলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা ফর্মে স্বাক্ষর করবেন। সে ক্ষেত্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তাতে সিলমোহর দিতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ২২:২১

—ফাইল চিত্র।

বিশেষ ভাবে সক্ষম যারা নিজে লিখতে পারে না, এমন শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তর সময়ে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রেজিস্ট্রেশনের সময় নিজেরা স্বাক্ষর না করতে পারলে অভিভাবকেরা তাঁদের জায়গায় স্বাক্ষর করতে পারবেন। এই মর্মে সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিজ্ঞপ্তি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানান সেই স্কুলের দু’জন (বিশেষ ভাবে সক্ষম) পড়ুয়া পেন পর্যন্ত ধরতে পারে না। অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার সময় সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীর স্বাক্ষর লাগে। সেটা এই দুই ছাত্র করতে পারবে না। তারপরই পর্ষদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই ধরনের বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়া থাকলে তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।

এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে কোন‌ও বিশেষ ভাবে সক্ষম শিক্ষার্থী স্বাক্ষর না করতে পারলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা ফর্মে স্বাক্ষর করবেন। সে ক্ষেত্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তাতে সিলমোহর দিতে হবে।

এতদিন পর্যন্ত যারা লিখতে পারত না তারা কী ভাবে স্বাক্ষর করত এই প্রশ্নের উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ বলেন,‘‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোন‌ও অভিযোগ বা সমস্যার কথা কোন‌ও স্কুল এতদিন পর্যন্ত জানায়নি। এ বার আমরা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’’

প্রত্যেক বছর মাধ্যমিকে বিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ মতো। যাদের মধ্যে একটি বড় অংশকে লেখার জন্য সাহায্যকারী (রাইটার) বা বিশেষ পরীক্ষায় উপকরণ সরবরাহ করা হয়। পর্ষদের তরফ থেকে তাদের কেন্দ্র নির্বাচনের সুবিধা থাকে। দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। এ ছাড়া তাদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন