WBJEE 2025 Results

রাজ্যে থাকতেই চাননি জয়েন্টের শীর্ষ স্থানাধিকারীরা, ব্যতিক্রম অরিত্রও পড়ছেন না পছন্দের যাদবপুরে

চলতি বছরে ২৭ এপ্রিল হয়েছিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। পরীক্ষা দেন ১,০১, ৬৪৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ১,০০,৫০২ জন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৪২
WBJEE

তৃতীয় দিশান্ত বসু (বাঁ দিকে)। চতুর্থ অরিত্র রায় (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন এ বার রাজ্য জয়েন্টের চতুর্থ স্থানাধিকারী অরিত্র রায়ের বাবা এবং মা। আশা ছিল অরিত্রও যাদবপুরেই পড়বেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতে হচ্ছে আইআইটি মুম্বইতে। নেপথ্যে, ফল প্রকাশে বিলম্ব। গোটা ঘটনায় খানিকটা হলেও হতাশ অরিত্রর মা মহুয়া মিত্র।

Advertisement

তবে অরিত্র ছাড়া মেধা তালিকায় প্রথম দশে থাকা সমস্ত পড়ুয়া নাকি প্রথম থেকেই স্থির করে রেখেছিলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যের বাইরে চলে যাবেন। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (ডব্লিউবিজেইই) মেধাতালিকায় শীর্ষ স্থানাধিকারী সিংহভাগ পড়ুয়াকে দেখা যাবে না কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায়।

মেধা তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রুবি পার্ক দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র দিশান্ত বসু। দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা দিশান্ত এর আগে জাতীয় স্তরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর) আয়োজিত আইসার অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-এ (আইএটি) প্রথম হন। অন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষাতেও ভাল ফল ছিল তাঁর। স্বপ্ন ছিল, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এ (আইআইএসসি) পড়ার। সে স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। রাজ্য জয়েন্টের ফলের অপেক্ষা না করে ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন। ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান।

মেধাতালিকার নবম স্থানে রয়েছেন দিল্লি পাবলিক স্কুলের প্রতীক ধনুকা। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই আইআইটি কানপুরে কম্পিউটার সায়েন্স-এর স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন প্রতীক। রাজ্যে ফেরার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। মেধা তালিকার প্রথম স্থানাধিকারীও ছাড়ছেন রাজ্য। তাঁরা কেউই রাজ্যে থেকে পড়াশোনা করতে চাননি।

ব্যতিক্রম চতুর্থ স্থানাধিকারি অরিত্র রায়। রুবি পার্ক দিল্লি পাবলিক স্কুলের মেধাবী পড়ুয়া অরিত্র সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) মেন এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) অ্যাডভান্সড-এ র‍্যাঙ্ক করেছেন যথাক্রমে ৫০ এবং ৫১। তবু তিনি চেয়েছিলেন যাদবপুরে পড়তে। কারণ, অরিত্রের মা-বাবা দু’জনেই যাদবপুরের প্রাক্তনী, বর্তমানে বেসরকারি আইটি সংস্থায় কর্মরত। বাড়ি যাদবপুরের কাছেই সাউথ সিটিতে।

অরিত্রের মা মহুয়া মিত্র বলেন, “নিজেরা যাদবপুরে পড়েছি বলে ইচ্ছে ছিল ছেলে যাদবপুরে পড়বে। কিন্তু এখন তো আর কিছু করার নেই।” ওবিসি সংরক্ষণের আইনি জটিলতায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজ্য ছেড়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন অরিত্র। বর্তমানে আইআইটি বোম্বেতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। শুরু হয়েছে ক্লাসও। অরিত্রের মা জানালেন, আর তো ফিরবে না রাজ্যে। মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ওর ক্লাস।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "গত বছর বা তার আগের বছর মেধাতালিকায় যে ১০ থেকে ২০ জন ছিল তারা রাজ্যে ছিল না আইআইটিতে পড়েছে। একটা তুলনামূলক সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। যাঁরা বাইরে পড়তে যাচ্ছে তাদের মধ্যে বাঙালির সংখ্যা কত। সর্বভারতীয় পরীক্ষা হওয়ার পর একজন ছাত্র বা ছাত্রী যাদবপুরের না পড়ে কেন কানপুরে পড়তে যাচ্ছে এই প্রশ্নর মানে হয় না।"

Advertisement
আরও পড়ুন