ছবি: এআই।
জেইই মেন-সহ একাধিক পরীক্ষায় চালু হতে চলেছে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের মুখ স্ক্যান করা হবে। এ ছাড়াও পরীক্ষায় নাম নথিভুক্তিকরণের সময় পোর্টাল মারফত পরীক্ষার্থীদের ছবি তোলা হবে।
জেইই মেন ২০২৪-এ এক জন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছিল এনটিএ। নিয়ম না মেনে পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন ন’জন। নিট ইউজি ২০২৪-এর সময়ও কারচুপি এবং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার জেরে শীর্ষ আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে আয়োজক সংস্থার তরফে ফেশিয়াল বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে রেলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশনের সময় সরাসরি প্রার্থীদের ছবি তোলা হত। এ বার থেকে ওই নিয়ম জেইই মেন, নেট-এর ক্ষেত্রেও কার্যকরী হতে চলেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বিনীত যোশি জানিয়েছেন, ২০২৬ থেকে এনটিএ আয়োজিত সমস্ত সর্বভারতীয় পরীক্ষায় এই পদ্ধতিতেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে। পরের বছরের জেইই মেন পরীক্ষা থেকে এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।
২০১৭ থেকে এনটিএ জেইই মেন, নেট ইউজি, কুয়েট পিজি-র মতো সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকা এবং যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা আয়োজন করছে। সেই পরীক্ষাগুলি এ বার থেকে বিশেষ ‘ডিজি এগ্জ়াম প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে এবং ভর্তি হওয়ার সময়ও পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন হবে কি না, তা নিয়েও পরিকল্পনা চলছে।