— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়া গেলে আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত থাকেন পড়ুয়ারা। এই সুযোগ পাওয়ার জন্য বিশেষ বিশেষ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা এবং স্কুল কলেজে ভাল নম্বর থাকা জরুরি।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞান, বাণিজ্য, মনোবিদ্যা, মার্কেটিং-এর পাশাপাশি, সঙ্গীত, নৃত্য এবং কলা বিভাগের নানা বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্যও স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। মোট ১২টি স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্থার শিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা ঋত্বিকা চন্দ পারুখ জানিয়েছেন, ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে উচ্চশিক্ষার পরিসরে সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার চর্চা বৃদ্ধি করতেই ‘গ্রেট স্কলারশিপ’ চালু করা হয়েছে।
এই কাজে আর্থিক সহায়তা করছে ব্রিটেন সরকার এবং ওই দেশের বেশ কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে কুইন’স ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল কলেজ অফ আর্ট, সারে ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল, রয়্যাল নর্দান কলেজ অফ মিউজ়িক-এর মতো প্রতিষ্ঠান। এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়ারা ১০,০০০ হাজার পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ ১৩ হাজার ৯১৪ টাকা) আর্থিক অনুদান পাবেন। ৩০ জুন, ২০২৬ থেকে বাছাই করা পড়ুয়াদের ওই স্কলারশিপ দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে নারীদের গবেষণায় উৎসাহ দিতে বিশেষ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য, নারীদের সাইবার সুরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং অধিকারের মতো বিষয় নিয়ে যাঁরা গবেষণা করতে চাইছেন, তাঁরা ওই বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। আর্থিক অনুদান হিসাবে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
আইন, সমাজবিজ্ঞান, জননীতি, অর্থনীতি, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ়, জেন্ডার স্টাডিজ় নিয়ে স্নাতকোত্তর যোগ্যতা কিংবা পিএইচডি, এমফিল অর্জন করেছেন— এমন মহিলারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে, যাঁরা ফেলোশিপ পাবেন, তাঁদের ছ’মাসের মধ্যে গবেষণাপত্র তৈরি করতে হবে। আগ্রহীরা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-মেল মারফত আবেদন পাঠাতে পারবেন।