WB SSC Teacher Protest

সেন্ট্রাল পার্ক ছেড়ে এ বার রামলীলা ময়দান, দিল্লিতে অবস্থান কর্মসূচি চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের

সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে লোকসভার বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে যাতে বাংলা শিক্ষা দুর্নীতি এবং ‘যোগ্য’দের চাকরি হারানোর বিষয়টি উত্থাপিত হয়, তা নিশ্চিত করতেই দিল্লি যাচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ২০:৩৩

নিজস্ব চিত্র।

নবান্ন অভিযানের পর এ বার ফের দিল্লি চলো কর্মসূচি চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সোমবার, ২১ জুলাই যখন সারা কলকাতার গন্তব্য ধর্মতলা, তখনই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের প্রায় ১৫০ চাকরিহারা। ২২ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিন অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা রাজধানীতে। আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের, জানা গিয়েছে এমনই।

Advertisement

সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে লোকসভার বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে যাতে বাংলা শিক্ষা দুর্নীতি এবং ‘যোগ্য’দের চাকরি হারানোর বিষয়টি উত্থাপিত হয়, তা নিশ্চিত করতেই দিল্লি যাচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, তাঁরা নিজেদের কথা জানাতে চান গোটা দেশকে। ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেত্রী সঙ্গীতা সাহা বলেন, “২১জুলাই থেকে শুরু হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। তাই আমরা ২৩ ও ২৪ জুলাই রামলীলা ময়দানে ধরনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফলে আমাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তা জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে চাই। লোকসভার অধিবেশনেও আমাদের বিষয়টি উত্থাপন হোক, এটাই আমরা চাই।”

গত এপ্রিল মাসে‌ও দিল্লি গিয়েছিলেন চাকরিহারারা। সে বার তাঁরা গিয়েছিলেন বাসে। দিল্লির পথে তাঁদের বাস যে সমস্ত রাজ্যের উপর দিয়ে গিয়েছিল, সেখানে লিফলেট বিলি করে সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিলেন চাকরিহারারা। দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনাও দিয়েছিলেন তাঁরা।

চাকরিহারাদের একাংশ জানিয়েছেন, এ বার শুধু অবস্থান নয়। রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা চান রিভিউ রায়ে যেন তাঁরা সুবিচার পান, সসম্মানে স্কুলে ফিরে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

যে দিন তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সে দিনই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ বিধি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলা সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়েছে। মামলাকারীদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন করেছে, “সুপ্রিম কোর্ট কি জুয়া খেলার জায়গা?” পাশাপাশি এই মামলার কোন‌ও গ্রহণযোগ্যতা নেই তাও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু তাতে বেশ কিছু আপত্তি তুলে হাই কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে অপেক্ষমান তালিকায় (ওয়েটিং লিস্ট) থাকা প্রার্থীরাও ছিলেন। হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত সকল মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এসএসসি-র বিজ্ঞপ্তিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। এটা সত্য যে, কমিশন এবং পর্ষদই বর্তমান অচলাবস্থার জন্য দায়ী। কিন্তু দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করা এখন লক্ষ্য। না হলে আগামী দিনে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন