SSC Class 9–10 Verification Delay

চলছে এসএসসি-র ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ, চলতি সপ্তাহের হচ্ছে না নবম-দশমের জন্য নথিযাচাই

সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দাবি করা হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি বিষয় ইন্টারভিউ শুরু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও করা সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১৪
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

চলতি সপ্তাহের শেষে, ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল নবম দশমের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। কিন্তু সে সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) তরফেই। জানা গিয়েছে, কমিশনের ওয়েবসাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে ওই সময়। সে জন্য তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। তবে বছর গড়ানোর আগেই তা শুরু হবে বলেও মিলেছে আশ্বাস।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে না পারায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। চলতি মাসেই ফের সুপ্রিম কোর্ট ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সবেতন কাজের মেয়াদ ৮ মাস বাড়িয়ে করে ৩১ অগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত করেছে।

এই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দাবি করা হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি বিষয় ইন্টারভিউ শুরু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও করা সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। তাই ২৬ ডিসেম্বর এই প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। তবে বছর শেষের আগেই আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করছি।”

এসএসসি সূত্রের খবর, ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে। তারপর নতুন বছরে ধাপে ধাপে অন্য বিষয়গুলির তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, নবম-দশম শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ ও তথ্য যাচাই শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ শে মার্চ, ২০২৬। প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিং মিটিয়ে সুপারিশপত্র দেওয়া হবে ৩০ মার্চ, ২০২৬। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সুপারিশপত্র পাঠানো শুরু হবে ৩১ মার্চ, ২০২৬ থেকে।

কিন্তু আদৌ কি এই দিনগুলিতেই কাজ এগোবে? প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, হলফনামা অনুযায়ী তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়াই শুরু না করা যায়নি। পরবর্তী কাজও খানিকটা পিছোবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই।

এই আশঙ্কার অন্যতম কারণ পুলিশি যাচাইকরণ। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে পুলিশ খতিয়ে দেখবে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এ রাজ্যের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মাস খানেক সময় লাগতে পারে এ জন্য। ভিন্‌ রাজ্যের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা তিন মাস পর্যন্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নিয়োগপত্র পেতে পেরিয়ে যেতে পারে মার্চ মাস। আর নবম দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০২৬-এর জুন-জুলাই মাস অবধি সময় লাগতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন