WBCHSE Exeam 2026

উত্তরপত্রের শেষে স্বাক্ষর করবেন পরীক্ষক! উচ্চ মাধ্যমিকে নয়া বিধি কার্যকর হচ্ছে চতুর্থ সেমিস্টার থেকে

সর্বভারতীয় স্তরে ব্যাখ্যামূলক পরীক্ষায় এই ধরনের নিয়ম চালু রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় এই প্রথম এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ব্যাখ্যা, খাতা চ্যালেঞ্জ হলে বা তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী আরটিআই হলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৯
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারে উত্তরপত্রে বদল আনার কথা আগেই জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ বার আরও কড়া পদক্ষেপের কথা জানাল তারা। পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্রে যেখানে লেখা শেষ করবে, সেখানে স্বাক্ষর করবেন পরীক্ষক।

Advertisement

২০২৬ উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারের উত্তরপত্রে সঙ্গে অতিরিক্ত কোনও পাতা জোড়া যাবে না, আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার্থীরা সংসদের দেওয়া খাতায় উত্তর লিখবে। যে পাতায় শেষ উত্তর লিখবে, তার একেবারে নীচে পরীক্ষক বা ইনভিজ়লেটর সই করবেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর খাতায় এই স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক।

সর্বভারতীয় স্তরে ব্যাখ্যামূলক পরীক্ষায় এই ধরনের নিয়ম চালু রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় এই প্রথম এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ব্যাখ্যা, খাতা চ্যালেঞ্জ হলে বা তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী আরটিআই হলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। তখন অনেক পড়ুয়া দাবি করে, আর‌ও বেশি উত্তর লিখেছিল সে। খাতা থেকে কোনও পাতা আদৌ হারিয়ে গিয়েছে কি না, তা প্রমাণ করতে হিমশিম খেতে হয় সংসদকে। এই জটিলতা এড়াতেই এই নতুন পদক্ষেপ।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এ বছর থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। যাকে বলা হয় এন্ড অফ লাইন। ইনভিজিলেটর-এর সই থাকা মানেই, এর পর আর কোন‌ও লেখা নেই। আইনি জটিলতার কারণেই এই পদক্ষেপ।”

এরই পাশাপাশি এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিধি আরোপ করেছে সংসদ। পরীক্ষা হলে পরীক্ষকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট বাতিল করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চিরঞ্জীব বলেন, “অনেক সময় টুকলি বা মোবাইল-সহ ধরা পড়লে পরীক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীরা। এই ধরনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই আমরা কঠোর পদক্ষেপ করছি। ছ’টি বিষয়ের মধ্যে যে কোনও পরীক্ষায় এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা সে বছরের জন্য বাতিল হয়ে যাবে।” কোনও পড়ুয়া একা বা সদলবলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর করলে সরাসরি স্কুলকে জরিমানা করা হবে। জরিমানা বা এনরোলমেন্ট বাতিল হতে পারে পড়ুয়াদেরও।

তবে শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন এতে পরীক্ষকের কাজের সময় দীর্ঘায়িত হবে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এতে ইনভিজ়লেটরদের পরিশ্রম বাড়বে। পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে এত খাতায় সই করা কঠিন হবে। তবে, নিয়ম মেনে এ কাজ করতেই হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন