SSC Recruitment 2025

হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপর ঝুলে রইল দ্বিতীয়বার 'যোগ্যতা'র প্রমাণ দেওয়া প্রার্থীদের ভাগ্য

বৃহস্পতিবার এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের উপর নির্ভর করছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:২৮
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসির) ২০২৫ নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা দেশের শীর্ষ আদালত আগেই কলকাতা হাই কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর ফলে পুরনো অভিযোগের সঙ্গে একাধিক নতুন মামলাও স্থান এই যে আদালতে। আর তার পরেই এই নয়া প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এসএসসি জানিয়েছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের উপর নির্ভর করছে। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানাল কমিশন। অর্থাৎ যে বিধির উপর নির্ভর করে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে, এই বিধির বৈধতা নির্ভর করছে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের উপর।

অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ১০ নম্বর দেওয়ার ফলে যাঁরা ১০০% পেয়েও বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দেওয়া এই ১০ নম্বর যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে এই প্রক্রিয়া নাকচ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মেনে এসএসসি-কে আবার নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

অর্থাৎ আবার ইন্টারভিউ তালিকা নতুন করে যাচাই করতে হবে। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কত তা নির্ধারণ করতে হবে। নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নথি যাচাই। পাশাপাশি চলছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও। চূড়ান্ত রায়ের উপর তা বহাল থাকবে না বাতিল হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ফলে ফের ঝুলে রইল চাকরিহারা ও নতুনদের ভাগ্য।

আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ সিদুরে মেঘ দেখছেন। আইনের গেরোয় এসএসসি ২০২৫ নিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

'যোগ্য' চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস বলেন,‘‘কমিশন এই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ল এর মূল কারণ সুপ্রিম কোর্টের যে মূল রায়, তার ৪৯ নম্বর প্যারায় 'ফ্রেশ সিলেকশন'এর কথা বলা হয়েছিল তার উপর পরীক্ষা না নিয়ে 'ওপেন ভ্যাকেন্সির' মাধ্যমিক সিলেকশন করতে গিয়ে নতুন বিধি প্রকাশ করেছে। তার ফলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য ব্যর্থ, চোর মূর্খ এসএসসি দায়ী।"

আইনি জটিলতার মধ্যেই ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এর মধ্যে না হলে 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলেই চাকরিহারা হয়ে পড়বেন। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চাকরির মেয়াদ ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্তই।

Advertisement
আরও পড়ুন