Bengali Mega Chiroshokha

গুরুতর অসুস্থ স্বতন্ত্র, ‘চিরসখা’য় আবার বিরহ! দর্শকেরা চিঠির পর চিঠি লিখছেন, জানালেন সুদীপ

“দর্শক পরিণত বয়স্কদের প্রেম একটানা দেখতে ভালবাসে না। ভালবাসায় যদি উথালপাথাল বিরহ না থাকে তা হলে কি প্রেম জমে?”, যুক্তি লীনার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ১৬:৩৭
‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে অপরাজিতা ঘোষ দাস, সুদীপা মুখোপাধ্যায়।

‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে অপরাজিতা ঘোষ দাস, সুদীপা মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকে যেমন তোলপাড় করা প্রেম তেমনই উথালপাথাল বিরহ! পরিণতবয়সের প্রেমের ক্ষেত্রে এই প্রবণতাই যেন বেশি দেখা যায়। যেমন, ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’। রোহিত সেনের সঙ্গে শ্রীময়ীর প্রেম নিয়ে দর্শক কম উত্তাল হয়নি। ঠিক বিপরীত প্রতিক্রিয়া যখন রোহিতের মৃত্যু দেখানো হয়েছে। প্রায় একই ছায়া কি এ বার ধারাবাহিক ‘চিরসখা’তেও?

Advertisement

এক দিকে, কমলিনী বিশেষ সম্মান পাচ্ছে। অন্য দিকে, স্বতন্ত্র গুরুতর অসুস্থ। বুকের ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে। স্বতন্ত্র-কমলিনীও কি রোহিত-শ্রীময়ীর পথে হাঁটতে চলেছে? ওদেরও কি মিলন হবে না?

‘স্বতন্ত্র’ ওরফে সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে প্রশ্ন তুলেছিল আনন্দবাজার ডট কম। অভিনেতার কথায়, “এই একই প্রশ্ন নিয়ে চিঠির পর চিঠি পাচ্ছি। সমাজমাধ্যমেও এ কথা জানতে চাইছেন অনেকে। কী বলি বলুন তো? এর একমাত্র উত্তর কাহিনিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে রয়েছে। লীনাদি ভাল বলতে পারবেন।” তবে দর্শকদের উপরে যে গল্পের প্রভাব পড়েছে, সেটা সুদীপ উপলব্ধি করতে পারছেন। তাঁর ভাল লাগছে, ধারাবাহিক সম্প্রচারের প্রথম দিন থেকে তিনি অনুরাগীদের ভালবাসা পাচ্ছেন।

কমলিনীর স্বামীর বন্ধু স্বতন্ত্র। কলেজবেলা থেকে তারা কমলিনীকে চেনে। স্বতন্ত্রকেই পছন্দ করত কমলিনী। কিন্তু বন্ধুর ভালবাসার কথা জানতে পেরে সরে দাঁড়ায় সে। তবু, নায়িকার জীবন থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়াতে পেরেছে কি? নায়িকার পরিবারের অনেক দায়ভার হাসিমুখে সামলায়। অথচ, তার সুসময়েই স্বতন্ত্র অসুস্থ!

এক টানা প্রেম দেখাবেন না বলেই কি বিরহের আবহ তৈরি করলেন? এই প্রশ্ন ‘চিরসখা’র কাহিনিকার লীনার কাছে রাখা হয়েছিল। “একটানা প্রেম কি কারও ভাল লাগে! বিশেষ করে সেই প্রেম যদি পরিণতবয়সের হয়”, মৃদু হেসে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন চিত্রনাট্যকার-কাহিনিকার লীনা। এড়িয়ে গিয়েছেন গল্পের পরিণতি নিয়ে। তাঁর মতে, ওঠাপড়া, টানাপড়েন না থাকলে জীবন বিস্বাদ। সেই জন্যই এই বিরতি।

ভরা প্রেমের সময় বিরহের মেঘ ছড়িয়ে দিয়ে কখনও ‘ব্যক্তি’ লীনার মনখারাপ হয়? “হয় তো”, স্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর লেখিকা সত্তার সেই অনুভূতি নেই। সে নিরপেক্ষ, নৈর্বক্তিক হয়ে নিজের ধর্মপালন করে মাত্র। নইলে কোনও চরিত্র বা গল্পই লীনা সৃষ্টি করতে পারবেন না।

Advertisement
আরও পড়ুন