Ahona Dutta

‘মেয়েও ঠিক একই ভাবে শাস্তি দেবে’, নেতিবাচক মন্তব্যে নাজেহাল অহনা! গর্জে উঠলেন পর্দার ‘মিশকা’

অভিনেত্রী অহনা দত্তকে নিয়ে বিপুল বিতর্ক হয়েছে। মায়ের সঙ্গে দূরত্ব প্রসঙ্গে অনেক তির্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাঁকে। এ বার সপাট উত্তর দিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৯
অহনার সপাট উত্তর।

অহনার সপাট উত্তর। ছবি: সংগৃহীত।

মা চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেত্রী অহনা দত্তের তিক্ত সম্পর্কের কথা এত দিনে সবাই জেনে গিয়েছেন। স্বামী দীপঙ্কর রায়ের সঙ্গে অহনার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি চাঁদনি। তার পর থেকে যত সমস্যার সূত্রপাত। এখন অহনাও কন্যাসন্তানের মা। এই খবর প্রকাশ্যে আসায় অনেকেরই মন্তব্য, অহনাকে তাঁর কৃতকর্মের ফল পেতে হবে। এ বার সব কটাক্ষের উত্তর দিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement

সদ্য মেয়ের এক মাসের জন্মদিন পালন করেছেন অহনা এবং দীপঙ্কর। প্রয়াত শাশুড়ির নামে নামকরণ করেছেন মেয়ের। মীরার নানা ধরনের ভিডিয়ো রোজ নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন। একরত্তিকে দেখে যেমন অনেকেই তাকে ভালবাসা দিয়েছে, তেমনই আবার কেউ কেউ অহনার সঙ্গে তাঁর মায়ের ঝামেলা টেনে এনে খোঁটাও দিয়েছে পর্দার মিশকাকে। একজন লিখেছেন, “তোমারও মেয়ে ঠিক তা-ই করবে, যা তুমি নিজের মায়ের সঙ্গে করেছ।” আবার কারও মন্তব্য, “ঈশ্বর তোমায়ও মেয়ে দিয়েছেন, সেই একই ভাবে ভুগতে হবে।”

একটানা নেতিবাচক মন্তব্য পড়ে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলেন না অহনা। উগরে দিলেন মনের যত বিরক্তি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে ভুল করলে সেই দায়িত্ব তাঁকে আর দীপঙ্করকেই নিতে হবে। আর কে নেবে তাঁদের মেয়ের দায়িত্ব? সেই সঙ্গে অভিনেত্রী যোগ করেন, মীরা বড় হয়ে তাঁর ভালবাসার মানুষের সঙ্গে থাকতে চাইলে তিনি কী কী করবেন না! অহনা বলেন, “মেয়ে ভালবাসার মানুষের সঙ্গে বেরিয়ে গেলে, থাকতে চাইলে, আমি ফোন করতাম। কারণ, ছেলেটা বাজে হলে আমার মেয়ে কোথায় যাবে? বেরিয়ে যাওয়ার আগে বলতাম না যে, চলে যাওয়ার আগে গলার সোনার হারটা খুলে রেখে যা। দাদু বা দিদার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বাধা দিতাম না। কাছের মানুষের মৃত্যুর খবর পেয়ে, যদি আমার মেয়ে কাকুতিমিনতি করে একবার শেষদেখা দেখার জন্য, ফোন রেখে দিতাম না। যা-ই হোক, কথা এর চেয়ে বেশি বাড়াতে চাই না।”

অহনার প্রথম ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র শুটিংয়ের সময়েই দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। মায়ের অমতে প্রেম এবং বিয়ে। এখন চাঁদনির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই অহনার। এক দিকে পর্দার মিশকা ব্যস্ত তাঁর এক মাসের মেয়েকে সামলাতে। আর চাঁদনি তাঁর নাচের স্কুল, তাঁর বাবাকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গোছানোর চেষ্টা করছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন