দেবমাল্যর সঙ্গে কবে বিয়ে মধুমিতার? ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে ধারাবাহিকের শুটিং, ছবির কাজ, তার উপর আবার বিয়ের প্রস্তুতি। সব মিলিয়ে দম ফেলার সময় নেই অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের। সৌমাভ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অটবী’র শুটিং শুরু হয়েছে। তার মাঝেই চলছে বিয়ের কেনাকাটা। ‘সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার’ ঘরানার গল্পে আগে কখনও কাজ করেননি নায়িকা। সব মিলিয়ে অনেক নতুনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটছে তাঁর।
মধুমিতা বললেন, “আগে কখনও এমন চরিত্রে কাজ করিনি, তাই এই গল্প আরও আকর্ষণ করেছে।” ছোটপর্দা, বড়পর্দার কাজ একসঙ্গে সামলাচ্ছেন কী করে? মধুমিতার কথায়, দুই তরফেই অনেক সাহায্য পাচ্ছেন। তা ছাড়া পরিবার পাশে না থাকলে তার পক্ষে এই সময় সব কিছু সামাল দেওয়া সম্ভব হত না। মধুমিতা যোগ করেন, “পরের সপ্তাহ থেকে আইবুড়োভাত পর্ব শুরু হয়ে যাবে। কেনাকাটা চলছে। তার সঙ্গে শুটিংও চলছে। এই সময় যদি পরিবারের সাহায্য না পেতাম তা হলে খুব অসুবিধায় পড়তাম।”
তা হলে ২৩ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন নায়িকা? কেমন সাজবেন, কী রঙের শাড়ি পরবেন সব ঠিক করে ফেলেছেন? মধুমিতা বললেন, “তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। বিয়ের জায়গা নিয়েও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তাই বিয়ের কার্ডের ডিজ়াইন দেওয়া হয়েছে, কী লেখা হবে এখনও বলা হয়নি। যাই হোক তাতেও বেশিদিন নেই। সময় পেলেই তাই কেনাকাটা করছি। বিয়ের দিন তো লাল রঙের বেনারসিই পরব। তবে রিসেপশনে কী রং বাছব সেটাই ভেবে চলেছি সারাক্ষণ।”
পরের সপ্তাহ থেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুদের বাড়িতে আইবুড়োভাত পর্ব শুরু হবে। মধুমিতা যোগ করেন, “আমায় আইবুড়োভাত খাওয়ালে, পাতে ভেটকির পাতুরি, মটন বিরিয়ানি বা পোলাও-মাংস—তিনটের মধ্যে কিছু একটা দিলেই হল। বেশি তো খেতে পারব না। আমার তাড়াতাড়ি মুখ ফুলে যায়। শেষে বিয়ের দিন ছবিতে ভাল লাগবে না। তাই বুঝে খেতে হবে।” বিয়েতে কী কী খাবারের আয়োজন করেছেন অভিনেত্রী? মধুমিতা নিজে যেহেতু বাঙালি খাবার খেতেই বেশি ভালবাসেন, তাই চিংড়ি আর পাঁঠার মাংস থাকবেই, জানিয়েছেন নায়িকা। মধুমিতা বললেন, “নলেন গুড় আমার প্রিয়। কিছু একটা পদ তো থাকবেই। দেখা যাক কী থাকে। সবটা বলতে চাই না।” নায়িকাকে বধূবেশে দেখতে উত্তেজিত তাঁর অনুরাগীরা।