গোয়ার সেই নৈশক্লাবের মালিক গৌরব এবং সৌরভ লুথরা। — ফাইল চিত্র।
গোয়ার সেই নৈশক্লাবের দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরাকে (লুথরা ভাই) শীঘ্রই তাইল্যান্ডের ফুকেত থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। সরকারি সূত্রে খবর, রবিবার বা সোমবারের মধ্যে লুথরা ভাইদের ভারতে আনার চেষ্টা চলছে। প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।
গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে আরপোরা গ্রামের নৈশক্লাব ‘বার্চ’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঘটে এই অগ্নিকাণ্ড। তার কয়েক ঘণ্টা পরে ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান সৌরভ, গৌরব। পরে জানা যায়, ইন্ডিগোর বিমানে তাইল্যান্ডে চলে যান তাঁরা। তার পর থেকেই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্যাঙ্ককে ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ করে তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পরে সে দেশেই দু’জনকে আটক করা হয়।
সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রত্যর্পণের সব আইনি এবং পদ্ধতিগত সমস্যা মিটেছে। এই কাজে তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। দু’জনের ভিসা বাতিল করা হয়। আটক করার পর তাঁদের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে জানা যায়, গত ৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার কিছু পরে আগুন লাগে গোয়ার ওই নৈশক্লাবে। দমকলবাহিনী যখন আগুন নেবানোর চেষ্টা করছে, ঠিক তখন ফুকেতের বিমানে টিকিট কাটেন লুথরা ভাই। পরের দিন বিমান ধরে ফুকেতে চলে যান তাঁরা। কী ভাবে তাঁরা ভারত ছাড়লেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় গোয়া পুলিশ। ইন্টারপোলের তরফে লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট আইনের ১০(ক) ধারার অধীনে লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট বাতিল করেন। তার ফলে তাঁদের তাইল্যান্ডে থাকার বৈধতা হারান। বাতিল হয় ভিসাও। ভিসা বাতিলের ফলে অবৈধ বিদেশি নাগরিক হিসাবে তাইল্যান্ডে থাকতে শুরু করেন লুথরা ভাইয়েরা। সেই কারণে দু’জনকে আটক করে তাইল্যান্ডের অভিবাসন দফতর।
তাইল্যান্ডে থাকাকালীনই দিল্লির এক আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন সৌরভ ও গৌরব। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে তাঁদের ফেরানোর পথ আরও মসৃণ হয়ে যায়। তাইল্যান্ড থেকে তাঁদের ভারতে আনার পর লুকআউট নোটিসের শর্তে গ্রেফতার করা হবে। তার পরে তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে নেবে গোয়া পুলিশ।