আংটি বদলের পর সুকান্ত কুণ্ডু, অনন্যা গুহ। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স মাত্র ২১ বছর! অভিনেত্রী অনন্যা গুহ মনের মানুষ সুকান্ত কুণ্ডুর সঙ্গে আংটি বদল সারলেন। এ দিন সকালে দুই পরিবারের সদস্যেরা জড়ো হয়েছিলেন সুকান্তের বাড়িতে। সেখানে হবু বর-কনের একসঙ্গে আশীর্বাদ হয়। বিয়ের প্রাক-পর্ব বলে কথা। পোশাকে লাল রঙের ছোঁয়া না থাকলে হয়? সেই রীতি মেনেই সকালের সাজে অনন্যা বেছে নিয়েছিলেন লাল বেনারসী। তাতে সোনালি বুটি, কল্কার সূক্ষ্ম কাজ। সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। সুকান্তের পরনে লাল পাঞ্জাবি, সাদা চোস্ত পাজামা।
বিকেলের সাজ কেমন ছিল? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বিকেলের সাজেও থাকবে লাল রং। তবে পোশাকে পাশ্চাত্যের ছাপ। তিনি গাউন বেছে নিয়েছেন। খোলা চুল আর হিরের গয়না তাঁর সাজ সম্পূর্ণ করবে। জানিয়েছেন, অনন্যার বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি— দু’তরফ দুটো হিরের সেট দিয়েছে। বিকেলে অবশ্য হবু বর লাল নয়, কালো কোট-প্যান্টে সুসজ্জিত হবেন। অভিনেত্রীর কথায়, “জানেন, বিশেষ দিনকে আরও বিশেষ করে তুলতে ছ’মাস ধরে অনেক পরিকল্পনা করেছি আমরা। আজ মনে হচ্ছে, আরও কত কিছু করতে পারতাম!” সেই জন্যই আনুষ্ঠানিক বিয়ে সারতে এক বছর সময় নিচ্ছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরে সাতপাক ঘুরবেন তাঁরা।
আশীর্বাদের পরে অনন্যার শাড়ির কুচি ঠিক করে দিচ্ছেন সুকান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
তবে খাওয়াদাওয়ায় কোনও ফাঁক রাখেনি দুই পরিবার। “আমরা বাঙাল। সকালে তাই রকমারি ভর্তা ছিল মেনুতে। যেমন, মুরগির রসুন ভর্তা, চিতল মাছের মুইঠ্যা, পাঁঠা ও মুরগির মাংস, দই কাতলা, ফুলকপির রোস্ট, মুর্গমসল্লম, কমলালেবুর চাটনি, মিষ্টি। রাতের খাবারে বাঙালি রীতি মেনে ভাত, পোলাও, মাংস তো থাকছেই। থাকছে পঞ্জাবি, চিনা খাবারও।”
সুকান্ত কিন্তু বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নন। পেশায় আইটি সংস্থায় কর্মরত যুবক সফল ইউটিউবার। অনন্যার কথায়, সমাজমাধ্যম তাঁদের জুড়ে দিয়েছে পরস্পরের সঙ্গে। বিনোদন দুনিয়ায় নাকি এখনও কুমারী অভিনেত্রীদের পাল্লা ভারী! অনন্যা নিশ্চয়ই সে সব ভেবেই এগোচ্ছেন? প্রশ্ন করতেই জবাব এল, “বিয়ে হলে কম কাজ পাব, মনে করি না। আমার কাজ আমার পরিচয়। সেখানে কোনও ফাঁকি দেব না।”