Father's Day 2025

হাতে ধরে শেখানোর জন্য বাবা আর নেই, পিতৃদিবসে তাঁকে স্মরণ করে ছেলের হাত ধরলেন পরমব্রত

প্রয়াত সাংবাদিক সতীনাথ চট্টোপাধ্যায় থাকলে নাতিকে নিজে হাতে নাড়াচাড়া করতেন। যে ভাবে পরমব্রতকে করেছেন। অভিনেতাও শিখতেন তাঁর থেকে, কী ভাবে ভাল বাবা হওয়া যায়।।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ১২:৩৯
পিতৃদিবসে ছেলেকে প্রথম প্রকাশ্যে আনলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

পিতৃদিবসে ছেলেকে প্রথম প্রকাশ্যে আনলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

মা হওয়া নয় মুখের কথা-- তিনিও মানেন। পিতৃঋণ-ই বা কী করে অস্বীকার করেন? সেই ঋণস্বীকারের আদর্শ দিন পিতৃদিবস। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এ দিন আর একবার মনে করলেন তাঁর প্রয়াত সাংবাদিক বাবা সতীনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। সদ্য বাবা হয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা। এ দিন তিনি নতুন করে যেন বাবার অভাব অনুভব করলেন। বাবা থাকলে তিনি ‘ভাল বাবা’ হওয়ার প্রথম পাঠ যে তাঁর থেকেই নিতেন! তার পরেই তাঁর পিতৃসত্তা বুঝি মনে পড়িয়ে দিয়েছে সদ্যোজাত সন্তানের কথা। নিজের বাবার মতো এ বার সন্তানের হাত ধরার পালা তাঁরও। সে কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে এনেছেন ছেলেকে। ছোট্ট, কচি হাত পরম ভরসায় আঁকড়ে ধরেছে ‘পিতা’ পরমব্রতের আঙুল! পরিচালক-অভিনেতার ভাগ করে নেওয়া এই ছবি বিশেষ দিনে বিশেষ চর্চার কারণ।

Advertisement

পরমব্রত এর আগে অনেক বার জানিয়েছেন, তিনি বরাবর ‘মায়ের ছেলে’। মা সুনেত্রা ঘটকের চলে যাওয়ার আগের মুহূর্ত মনে পড়লে এখনও গলার কাছে কষ্ট দলা পাকায়। পরিচালক-অভিনেতা কিন্তু বাবার অভাব-ও ভীষণ ভাবে অনুভব করেন। নিজে সদ্য বাবা হয়ে সে কথা বুঝি আরও বেশি করে উপলব্ধি করতে পারছেন। ছেলেকে আপাতত তিনি ‘জুনিয়র’ সম্বোধন করছেন। তার লালচে, ফুলো ফুলো হাতের ছবির সঙ্গে তাই পরমব্রত ভাগ করে নিয়েছেন নিজের কিশোরবেলার একটি ছবি। বাবার পাশে হাসিমুখে বসে তিনি।

তিনি লিখেছেন, “পিতৃত্বকে বটগাছ বই অন্য কিছুর সঙ্গে তেমন একটা তুলনায় আনা হয় না। পিতৃত্বের অনুভূতি, চিন্তা, অস্থিরতা, ত্যাগ কী ভাবে এবং কতখানি একজন বাবাকে ঘিরে থাকে তা গত ১৫ দিন ধরে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করার চেষ্টা করছি৷ বোঝার চেষ্টা করছি পিতৃত্বের দায়িত্ব। যা নিঃশব্দে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আমার বাবা।” তিনি বুঝতে পেরেছেন, আজ বাবা থাকলে তাঁর অনেক কৌতূহল, অনেক প্রশ্নের জবাব পেতেন। প্রয়োজনে বাবার সঙ্গে পরামর্শও করতে পারতেন। আফসোস, হাতে ধরে শিখিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর সাংবাদিক বাবা আর নেই। অথচ, এই সময়েই তাঁকেই যে তাঁর বেশি প্রয়োজন ছিল।

নতুন বাবা দায়িত্বপালনে কোনও ত্রুটি রাখছেন না, এমন শংসাপত্র আনন্দবাজার ডট কমকে দিয়েছেন পরমব্রতের স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে পরমব্রত। ছেলেকে চোখে হারাচ্ছে। যখনই সময় পাচ্ছে, ছেলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে বসে আছে! ছেলেকে কোলে নিয়ে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়। ন্যাপি বদলে দেয়। পরমের এই রূপটাও নতুন।”

Advertisement
আরও পড়ুন