দর্শনা বণিক এবং সৌরভ দাস। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের তৃতীয় জন্মদিন। সকাল থেকে দু'জনে-কুজনে সৌরভ দাস, দর্শনা বণিক। দুপুরে চিনে খাবার। রাতে ক্রিকেটম্যাচ! ফাঁস করলেন আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে।
এই প্রজন্ম বিয়ের এক বছর কাটলেই স্বস্তির শ্বাস ফেলেন। সৌরভ-দর্শনার সেখানে দুই। যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন, দম্পতি তাঁদের কী পরামর্শ দেবেন? তার উপরে দু'জনেই এক পেশায়।
সৌরভ-দর্শনার এ দিন এক মত, এক পথ। দু'জনেই বললেন, "এ ক্ষেত্রে পরস্পরকে স্বাধীনতা দেওয়া খুব জরুরি। আমরা সেটা দিই।" অভিনেত্রী উদাহরণ হিসাবে জানিয়েছেন, তিনি কী পোশাক পরবেন, কোন চরিত্রে অভিনয় করবেন-- সব নিজে ঠিক করেন। "দর্শনাও আমায় সেই স্বাধীনতা দেয়। ও জানে, অনেক কষ্ট করে একটা জায়গায় পৌঁছেছি", বক্তব্য সৌরভের। সোমবার তাই পরস্পরের পছন্দই প্রাধান্য পেয়েছে, অবশ্যই দুই পরিবারের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে।
একই পেশা হওয়ায় দর্শনা বেঁচে গিয়েছেন, হাসতে হাসতে জানিয়েছেন তিনি। "আমাদের অনেক ইচ্ছা। কিন্তু কাজের কারণে সব ইচ্ছাপূরণ হয় না। একই পেশার কারণে আমরা এই সমস্যা বুঝতে পারি", বক্তব্য অভিনেত্রীর। তাই কেউ কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতে না পারলে অন্য জন মনখারাপ করেন না।
এক পেশা নয়। বিয়ে ভাঙার নেপথ্য কারণ হিসাবে তারকাদম্পতি বরং দায়ী করেছেন সমাজমাধ্যমকে। সৌরভের মতে, এখন হাতে হাতে মুঠোফোন। সবাই সমাজমাধ্যমে মন্তব্য করছেন। সেই মন্তব্য সবার পছন্দ হয় না। তাই তিনি দর্শনাকে মন্তব্য না পড়ার পরামর্শ দেন। সৌরভের কথার সুর তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রীর কণ্ঠেও। বললেন, "সমাজমাধ্যমে মন্তব্যবাক্স না থাকলে অনেক সংসার বেঁচে যাবে।"