Sanjay Dutt

‘ওর চুলের মুঠি ধরে চড় মারি’, নাম জড়ায় জঙ্গিযোগে! জেরার সময়ে কী অবস্থা হয় সঞ্জয় দত্তের?

বান্দ্রার এক রেস্তরাঁর মালিক হানিফ কাদাওয়ালার মুখেই প্রথম সঞ্জয়ের নাম উঠে আসে। হানিফই জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদীরা সঞ্জয়ের বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৫৩
IPS officer shared experience interrogating Sanjay Dutt d

জেরার সময়ে কী অবস্থা হয় সঞ্জয় দত্তের? —ফাইল চিত্র।

সঞ্জয় দত্তকে চড় মেরেছিলেন। বিমানবন্দর থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে আটক করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয় বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার। সন্ত্রাসবাদীরা তাঁর বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিলেন বলে জানা যায়। সেই সময়ে সঞ্জয়কে জেরা করেছিলেন পুলিশ আধিকারিক রাকেশ মারিয়া।

Advertisement

বান্দ্রার এক রেস্তরাঁর মালিক হানিফ কাদাওয়ালার মুখে প্রথম সঞ্জয়ের নাম উঠে আসে। হানিফই জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদীরা সঞ্জয়ের বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিলেন। তদন্তের সময়ে মুম্বইয়ে ছিলেন না সঞ্জয়। তখন তিনি মরিশাসে শুটিং করছিলেন। বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করেছিল মুম্বই অপরাধদমন শাখা। সেখান থেকে তাঁকে ধরে আনার পরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অভিনেতাকে যেন একটিও সিগারেট না দেওয়া হয়। কাউকে ফোন করারও অনুমতি দেওয়া হয়নি অভিনেতাকে।

রাকেশ বলেছেন, “রাত আড়াইটে থেকে একটা ঘরে বসেছিলেন সঞ্জয়। আমি সকাল আটটায় ঢুকি সেই ঘরে। সঞ্জয় দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ।” কিছুতেই আসল ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছিলেন না অভিনেতা।

সেই সময়ে সঞ্জয়ের লম্বা চুল ছিল। রাকেশ স্মৃতি হাতড়ে বলেছেন, “আমি ওঁর কাছে যাই এবং গালে সপাটে চড় মারি। তার পর ওর চুলের মুঠি ধরে টান দিই। সোজা প্রশ্ন করি, ‘আমাকে কি ভদ্র ভাবে কথা বলতে দেবে, না কি অন্য পদ্ধতি নেব?’ তখন উনি আমার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে চান। পুরো ঘটনা আমাকে জানান।”

সেই দিন জেরার সময়ে রাকেশকে একটি অনুরোধ করেছিলেন সঞ্জয়। তিনি বলেছিলেন, “আমি ভুল করে ফেলেছি। দয়া করে আমার বাবাকে বলবেন না।” সেই সন্ধেতেই সঞ্জয়ের বাবা অর্থাৎ সুনীল দত্ত দেখা করতে এসেছিলেন। সেই দিন বাবাকে দেখে বাচ্চাদের মতো হাউহাউ করে কাঁদছিলেন সঞ্জয় দত্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন