নতুন রূপে মিমি চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।
আইন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না! দুঁদে পুলিশ অফিসার ‘সংযুক্তা’ হয়ে দর্শকমন জয়ের পরেও মিমি চক্রবর্তী আরও একবার আইনজীবী। অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এ নায়িকা লয়ার নন্দিনী বসু।
এর আগেও একাধিক ছবি এবং সিরিজ়ে আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিমিকে। সে প্রসঙ্গ তুলতেই রসিকতা করলেন নায়িকা। আনন্দবাজার ডট কম-কে হাসতে হাসতে বললেন, “নির্ঘাৎ আগের জন্মে আইনজীবী ছিলাম। ওই জন্য ঘুরেফিরে পর্দায় আইনজীবী চরিত্রে অভিনয় করি।” ‘রক্তবীজ ২’ ছবিতে মিমি পুলিশ অফিসার ‘সংযুক্তা’। সেখানে থেকে ভৌতিক ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়। যাত্রা কেমন ছিল? জানতে চাইতেই তিনি প্রথমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর দর্শককে। যাঁরা তাঁকে ‘সংযুক্তা’ চরিত্রের জন্য ভালবাসা দিয়েছেন। আশা রেখেছেন, তাঁরাই ফের তাঁকে ‘আইনজীবী নন্দিনী’ হিসাবেও গ্রহণ করবেন।
তার পর জানিয়েছেন, ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এ অভিনয়ে রাজি হওয়ার কারণ। “ভূতে বিশ্বাসী না অবিশ্বাসী, সেই প্রসঙ্গ আপাতত তোলা থাক। তবে শুভ শক্তির পাশে অশুভ শক্তিও যে রয়েছে সেটা বিশ্বাস করি। একই ভাবে প্রিয় ভূতের গল্প, ভৌতিক ছায়াছবি। ছোটবেলায় দিদার কাছে অনেক গল্প শুনেছি।” একটু বড় হওয়ার পরে ভূতের ছবিও দেখেছেন। কখনও বাড়িতে বসে। কখনও প্রেক্ষাগৃহে। এমনও হয়েছে, ভূতের ছবি দেখার পর বন্ধুদের সঙ্গে ডরমেটরি ঘরে একসঙ্গে থেকেছেন!
তাই নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তরফ থেকে ডাক পেতেই নড়েচড়ে বসেছেন মিমি। ছবির কাহিনি এবং চিত্রনাট্যকার জ়িনিয়া সেন। নায়িকার মতে, “ভৌতিক বা রহস্যরোমাঞ্চ ঘরানার ছবিতে এর আগেও কাজ করেছি। এই ধরনের ছবির প্রতি আগ্রহ আছে। তাই ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর কথা শুনে সেই আগ্রহ বাড়ে। জ়িনিয়ার লেখার বাঁধুনি আর আমার চরিত্র ভীষণ পছন্দ হওয়ায় ‘হ্যাঁ’ বলি।” নন্দিতা-শিবপ্রসাদ যেমন সমসাময়িক সমস্যার কথা তাঁদের ছবিতে তুলে ধরেন, তেমনই বিনোদনমূলক ছবিও উপহার দেন। এই ছবিতে নাচ-গান, অ্যাকশন-ইমোশন-সহ বিনোদনের সমস্ত উপকরণ নিখুঁত মেশানো। ফলে, কাজ করে খুশি তিনি।
মিমিকে সবাই অসমসাহসী বলেই জানেন। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পিছপা হন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে যান। এ হেন সাহসী অভিনেত্রী কি ভূতে ভয় পান?
প্রশ্ন শুনে ফের হাসি তাঁর মুখে। মিমি স্বীকার করেছেন, “ভূতকে ভয় পাই।” যদিও এখনও অবধি নিজের চোখে কিছু দেখেননি। সে কথা বলতে গিয়ে নায়িকার মত, “ভাগ্যিস দেখিনি। দেখতে চাইও না! তবে হ্যাঁ, শুটিং করতে গিয়ে বারদুয়েক যেন মনে হয়েছে, কোথাও তো কিছু আছে!”